Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মোদির ১০০ দিনে উধাও সাড়ে ১২ লাখ কোটি রুপি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৯ PM
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৯ PM

bdmorning Image Preview


৩০ মে থেকে ৩১ অগস্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় বার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথম তিন মাসে ভারতের অর্থনীতি পিছিয়ে পড়েছে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই। ভারতের শেয়ার বাজার উড়ে গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের লগ্নি করা সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি রুপির সম্পদ।

সেনসেক্স পড়েছে দুদ্দাড়িয়ে, ৫.৯৬ শতাংশ। পয়েন্টের নিরিখে ২ হাজার ৩৫৭। গত ৩০ মে থেকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) নিফটি সূচক পড়েছে অন্তত ৫০। শতাংশের হিসেবে ৭.২৩। বা ৮৫৮ পয়েন্ট।

কেন? দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলোর শরীর স্বাস্থ্যের হাল ভালো নয়। সংস্থাগুলোর আয়ের পরিমাণ কমেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আর ভারতে লগ্নিতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অর্থনীতির এই মন্দার সময় যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, সেই বিদেশি বিনিয়োগে ঘাটতি দেখা দেওয়ার জন্য দায় যদি কারও থাকে, তা হলে তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের।

দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর তাঁর প্রথম বাজেটে বিদেশি বিনিয়োগের উপর করের বোঝা খুব বেশি বাড়িয়ে দিলেন নির্মলা। ফলে, ভারতের শেয়ার বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই সবচেয়ে বেশি করে শেয়ার বেচেছেন মোদি সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর।

ন্যাশনাল সিকিওরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড (এনএসডিএল)-এর তথ্য জানাচ্ছে, গত ৩০ মে থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ভারতের বাজারে তাদের ২৮ হাজার ২৬০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপির শেয়ার বেচে দিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

শুধু তাই নয়, গত তিন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর শেয়ার সূচক পড়েছে সবচেয়ে বেশি। ২৬.১৩ শতাংশ। তার তুলনায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর শেয়ারের সূচক পড়েছে কম হারে।

১২.৪৮ শতাংশ। ধাতু, সংবাদমাধ্যম, গাড়ি ও ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর শেয়ারের সূচকের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলির তুলনায় কম পড়েছে। দেশের অর্থনীতির প্রাণ ধাতু শিল্পের সূচকও পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

Bootstrap Image Preview