Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ শুক্রবার, মে ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

৯/১১ সন্ত্রাসী হামলায় সহায়তাকারী সৌদি কর্মকর্তার নাম প্রকাশ যুক্তরাষ্ট্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:২০ AM
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:২০ AM

bdmorning Image Preview


আঠারো বছর আগে ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার ছিনতাইকারীদের সহায়তাকারী সৌদি কর্মকর্তার নাম প্রকাশের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়।

রিয়াদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে টানাপোড়েনের সম্পর্ক এবং হামলার শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের চাপের মধ্যে এই নাম প্রকাশ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।-খবর এএফপি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট

এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল। বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলে খবরে বলা হয়েছে।

হামলায় সহায়তাকারী সৌদির নাম প্রকাশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত মাসখানেক ধরে প্রচার চালিয়ে আসছিল আক্রান্তদের পরিবার।

ট্রাম্পকে লেখা সর্বশেষ এক চিঠিতে পরিবারগুলো জানায়, ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করলে পূর্ণ সত্য জানা ও সৌদি আরবের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ হবে।

তবে হামলায় যুক্ত থাকার কথা বারবার অস্বীকার করে আসছে সৌদি আরব সরকার। সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে বিদেশি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা সহজ করতে মার্কিন কংগ্রেস ২০০৬ সালে একটি আইন পাস করে। এর পর নাম প্রকাশের দাবি আরও জোরালো হয়েছে।

হামলায় যুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৫ ব্যক্তিই সৌদি নাগরিক। চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে সেগুলো নিউ ইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউস কিংবা কংগ্রেসে হামলার ষড়যন্ত্র করেন তারা।

নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ও পেনসিলভানিয়ায় হামলায় প্রায় তিন হাজার লোক নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আক্রান্তদের পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ দাবিতে সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

২০০২ সালে হামলা নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন বলছে, কিছু হামলাকারী সৌদি আরবের কাছ থেকে তহবিল পেয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত দুজন সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা হবেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

এই দুজন হলেন ফাহাদ আল-থুমাইরি ও ওমর আল-বায়ুমি। তারা দুজনই সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি দূতাবাসে সংযুক্ত ছিলেন।

কিন্তু এই দুই সৌদি কর্মকর্তা ছিনতাইয়ে যুক্ত ছিলেন বলে যে দাবি করা হয়েছিল পরবর্তী তদন্তে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কিন্তু ২০০২ সালে অভিযোগের কথা পুনর্ব্যক্ত করে এফবিআইয়ের প্রতিবেদন সম্পাদনা করা হয়।

এতে তৃতীয় এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়, যিনি তাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় নামটি অন্ধকারে রাখা হয়েছে।

সৌদি এক রাজপরিবারের নাম এই গুজবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। হামলার পর দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে আল-কায়েদাকে নিমূর্ল করতে সৌদি আরব ও ওয়াশিংটন এক সঙ্গে কাজ করায় তার নাম গোপনীয় রাখা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview