পরিচয় গোপন করে লেখা পড়া করায় রহিমা আক্তার খুশি (২০) নামে এক রোহিঙ্গা তরুণীকে বহিষ্কারের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পাওয়া গেলো রোহিঙ্গা তরুণ হারুনুর রশিদও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করছে।
হারুনুর রশিদের বাবার নাম অজি উল্লাহ। তারা নয়াপাড়া শরণার্থী রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের এইচ ব্লকে বসবাস করে। তার বাবা অজি উল্লাহ রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
জানা গেছে, হারুন জন্মসূত্রে রোহিঙ্গা নাগরিক হলেও বাংলাদেশের পরিচয়ে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পি.ই.সি, হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জে.এস.সি এবং এস.এস.সি পাস করেন। হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাস করে চট্টগ্রামের সরকারি সিটি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচ.এস.সি পাস করেন তিনি। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যায়নরত আছেন।
এমনকি বাংলাদেশি ছদ্মবেশে তিনি চট্টগ্রাম বহদ্দারহাটে একটি মেসেও থাকেন। এমনভাবে চলাফেরা করেন, যেন রুমমেটরাও সহজে বুঝতে না পারে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককে রোহিঙ্গারা রাতের আঁধারে নিশৃংসভাবে হত্যা করার পর থেকে টেকনাফের সচেতনমহল ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে।
হারুনুর রশিদ সে ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে, স্থানীয় সরকারকে দোষারোপ করে বিভিন্ন জনের দেয়া স্ট্যাটাসে কমেন্ট করতে থাকেন এবং অনেকজনকে হেয় প্রতিপন্ন করতে থাকেন।
একপর্যায়ে রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে কাছের বন্ধুবান্ধবের সাথেও ফেসবুকে কমেন্টে উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময় করেন বলে জানা গেছে। ফেসবুক বন্ধুরা বিভিন্নভাবে তার খোঁজ-খবর নিচ্ছে জেনে তিনি নিচের আইডি ডিএক্টিভ করে দেন।