গেল জুন মাসে বান্ধবী আর ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন কার্টিস হুইটস। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ক্যালিফোর্নিয়ায় ব্যাকপ্যাকিং ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তারা।
গিরিখাত ধরে অ্যারোইও সেকো নদীর ঝরনায় পৌঁছাতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু সরু এক উপত্যকায় আটকে পড়েন। দুই পাশে প্রায় ৪০ ফুট (১৫ মিটার) উঁচু দেয়ালে বন্দি হয়ে যান তিন জন।
তাদের কাছে কোনো দড়ি ছিল না। ফলে না পারে নিচে নামতে, আবার না পারে ওপরে উঠতে। ওই এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও কাজ করছিল না। আবার দৃষ্টিসীমার মধ্যে প্রাণীও দেখা যাচ্ছিল না।
এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে মৃত্যুর আশঙ্কায় পড়ে যান এ তিনজন। হুইটসন জানান, ‘দেখলাম পানির পরিমাণ খুব বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তখন হৃদযন্ত্র যেন বিকল পয়ে যাচ্ছিল।
বার্তাসংস্থা সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, একটি শপে খাবার খাওয়ার পর যে রশিদ দিয়েছিল সেই কাগজটি আমাদের সঙ্গে ছিল। ওই কাগজের উল্টো পিঠে কলম দিয়ে লিখলাম, ‘আমরা এখানে জলপ্রপাতের ওপরে আটকা পড়েছি।
দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।’ কাগজটি বোতলে ভরে বোতলের বাইরে বড় করে ‘সাহায্য’ শব্দটি লিখে সেটি পানিতে ছেড়ে দেই।
হুইটসনের ওই বোতালটি প্রায় এক মাইল দূরে দুই পর্বতারোহীর দৃষ্টি কাড়ে। তারা সেটি খুলে বিষয়টি দেখতে পান এবং কর্তৃপক্ষকে খবর দেন।
উদ্ধারকর্মীরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হুইটসন, তার বান্ধবী রামিরেজ ও ছেলে কার্টিসকে উদ্ধার করে।
ক্যালিফোর্নিয়ার হাইওয়ে পুলিশ টড ব্রেথর বলেন, বোতল থেকে বার্তা খুঁজে পাওয়া না গেলে হুইটসনদের কাছে পৌঁছানোর আর কোনো সুযোগ ছিল না।