টেবিলের উপর সাজানো মোবাইল। হাতুড়ির এক এক ঘায়ে ভেঙে চলেছেন শিক্ষক। সামনে জড়োসড়ো হয়ে বসে মোবাইল-নিধন দেখছে ছাত্রীরা। তারটাও যে ভাঙবে একটু পরেই! বিষন্ন মুখে তারই প্রতীক্ষা।
বৃহস্পতিবার এমনটাই ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকের এমইএস চৈতন্য পিইউ কলেজে।
ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হাতুড়ি দিয়ে মোবাইল ফোন ভেঙেছেন যে অধ্যক্ষ তার নাম আরএম ভাট। এই অধ্যক্ষের একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, এমইএস চৈতন্য পিইউ কলেজে ক্লাসরুমে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা তাদের সেলফোন ব্যবহার চালিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল যে, তারা যদি মোবাইল ফোন ক্লাশে ব্যবহার করে ধরা পড়ে তবে সেগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ক্লাশে লেকচার দেওয়ার সময়ও শিক্ষার্থীরা তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বার্তা (এসএমএস) বিনিময় করে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের তল্লাশি চালিয়ে ১৬ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের কলেজের হলরুমে একত্রিত হতে বলা হয়। এরপর অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের সামনে কয়েকটি মোবাইল ফোন ভাঙেন।
কর্ণাটকের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলির ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডি শশী কুমার ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে জানানস, স্কুলগুলির পাশাপাশি কলেজগুলিতেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই জাতীয় শাস্তি দেওয়া দরকার।
তিনি বলেন, শিশুরা স্কুল-কলেজগুলিতে নিষিদ্ধ জিনিসপত্র নিয়ে আসছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও এ বিষয়টি আমলে নেন না।