Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ বৃহস্পতিবার, আগষ্ট ২০২৫ | ৬ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রতিরক্ষার অজুহাতে সৌদিতে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৯ AM
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৯ AM

bdmorning Image Preview


সৌদি তেল শোধনাগারে ভয়াবহ ড্রোন হামলার পর নিরাপত্তার অজুহাতে সেখানে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যে আরো বেশি মার্কিন সেনা পাঠিয়ে সৌদি আরবকে রক্ষা করার এক পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

এ সম্পর্কে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরবে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এসব সেনা মোতায়েন করা হবে।

তবে সেখানে কি পরিমাণ সেনা পাঠানো হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি ওয়াশিংটন। এইসব মার্কিন সেনা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে মোতায়েন করা হবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার ওয়াশিংটনে মার্কিন সেনাপ্রধধান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ডের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, সৌদি তেল স্থাপনায় হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ইরানের তৈরি এবং এসব অস্ত্র ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা হয়নি। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো দাবি করেন, চারদিক দিয়ে কঠোরভাবে অবরুদ্ধ ইয়েমেনে সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে ইরান।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত বুধবার রাতে সৌদি আরবের জেদ্দা সফরকালে বলেছিলেন, সৌদি তেল স্থাপনায় ইয়েমেন থেকে হামলা চালানো হয়নি বরং ওই হামলা ইরান থেকে চালানো হয়েছে। ওই হামলায় ব্যবহৃত সমরাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের প্রদর্শনী করে সৌদি আরবও একই দাবি করেছে।

তেল স্থাপণায় হামলাকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ উত্তেজনা ছড়িয়ে পরার প্রেক্ষাপটেই সৌদি আরবে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর রিয়াদের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়ে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে এর প্রতিশোধ নেয়ারও হুমকি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হাজির করা হয়।

তবে শুরু থেকেই সৌদি তেল শোধনাগারে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে ইরান সরকার। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলা দায় স্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, তারা সৌদি তেল শোধনাগারে আরো হামলার হুমকিও দিয়েছে।

Bootstrap Image Preview