ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ককে নিষিদ্ধ করতে নতুন একটি আইন পাস করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু এই আইন পাস হওয়ার আগেই এর বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর জানা যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টে মঙ্গলবার-ই বিলটির ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন সকাল থেকেই ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে অন্যান্য শহরেও।
পরে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শুক্রবার পর্যন্ত ভোট স্থগিত করতে বাধ্য হন তবে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। তিনি বলেছেন, নতুন আইন বাস্তবায়নের আগে আরো বিবেচনা প্রয়োজন।
প্রস্তাবিত নতুন ওই অপরাধ আইনে বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। শাস্তি হিসেবে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হতে পারে।
এছাড়া বিয়ে ছাড়া একসাথে বসবাসের ক্ষেত্রে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তি হবে। প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ধর্ম, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সঙ্গীতের মত প্রতীক অবমাননা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা বা ধর্ষণের পরিস্থিতি না হলে গর্ভপাতের শাস্তি সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড।
এই বিলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাজধানী জাকার্তার রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ, যাদের বেশিরভাগই ছাত্র। অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়লে পুলিশ তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান থেকে পানি নিক্ষেপ করে।
এসময় বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক নারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা দেখা যায়: ‘আমার দেহ কোনো সরকারের সম্পত্তি নয়’।
বিক্ষোভের কারণে পরে বিতর্কিত বিলটির ওপর নির্ধারিত ভোটাভুটি স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট উইদোদো।