ধর্ষণের অভিযোগ উঠায় তদন্তের স্বার্থে পদত্যাগ করেছেন নেপালের স্পিকার কৃষ্ণা বাহাদুর মহারা।
দেশটির সংবাদপত্র ‘মাই রিপাবলিক’ এ প্রকাশ করা চিঠিতে তিনি বলেন, ওই অভিযোগের কারণে আমার চরিত্র নিয়ে যে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে তার স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে নৈতিক কারণে আমি পদত্যাগ করছি।
তবে এবিষয়ে জানতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে কৃষ্ণা বাহাদুরের মোবাইলে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার সহযোগী অভিযোগ অস্বীকার করে মঙ্গলবার সকালে একটি বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলেন, এটা স্পিকারের চরিত্র হননের অপচেষ্টা।
কাঠমাণ্ডু পুলিশ প্রধান উত্তম সুবেদি বলেন, পার্লামেন্টকর্মী ওই নারী রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে নিজের অ্যাপার্টমেন্টেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ওই নারী কৃষ্ণা বাহাদুরের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্পিকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
কৃষ্ণা বাহাদুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি তাকে স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে পদত্যাগের আহ্বান জানায় বলে জানান দলের এক মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, নেপালের বিদ্রোহী ও সংস্কারপন্থি কমিউনিস্ট দলগুলো জোট গঠন করে ২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে বড় জয় নিয়ে সরকার গঠন করে। সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহী গেরিলা কৃষ্ণা বাহাদুর পার্লামেন্টের স্পিকার নির্বাচিত হন।
বিদ্রোহী মাওবাদী গেরিলা ও সরকারের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ২০০৬ সালে নেপালের প্রায় এক দশকের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। ওই আলোচনায় বিদ্রোহী প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন কৃষ্ণা বাহাদুর।