Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সাবেক শিবির নেতার বাড়ি থেকে ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন সম্রাট!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:১৪ PM
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:১৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আজ রোববার ভোর ৫টায় তাকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সহযোগী আরমানসহ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। নানা আলোচনা-গুঞ্জনের পর অবশেষে আটক হলেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এই যুবলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন সম্রাট।

এ সময় তিনি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে ছিলেন। ঢাকায় তিনি এক প্রভাবশালী নেতার বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এদিকে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যে এলাকা থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামটি সীমান্তের কাছাকাছি। ধারণা করা হচ্ছে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের যে বাড়িতে সম্রাট আশ্রয় নিয়েছিলেন সেটি তার আত্মীয়ের বাসা। চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামটি ফেনী জেলা লাগোয়া। বাড়ির মালিক মনিরুল ইসলাম ফেনীর পৌর মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিনের ভগ্নিপতি।

আলকরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, একসময় মনিরুল জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে তার বাড়ির চারপাশে অবস্থান নেয় র‍্যাব। সেখান থেকে ভোরে সহযোগী আরমান’সহ সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। দেশ বিদেশে যেতেন জুয়া খেলতে।

সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরপর ধরা পড়েন রাজধানীর ‘টেন্ডার কিং’ জিকে শামীম। জানা গেছে, এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে।

এরপরই, গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। তার অবস্থান ও তাকে আটক করা না করা নিয়ে তৈরি হয় নানা গুঞ্জন। অনেকে বলছিল, সম্রাট ক্ষমতাসীন সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের কাছে তার গুরুত্ব তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।

অবশ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, অপেক্ষা করুন, যা ঘটবে দেখবেন। সম্রাট বলে কথা নয়; যে কেউ আইনের আওতায় আসবে। আপনারা সময় হলেই দেখবেন।

Bootstrap Image Preview