ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের আটকের পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং সারোয়ার বিন কাশেম জানিয়েছেন, সম্রাটকে রিমান্ডে নেয়া হলে আরও অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে।
ইসমাইল হোসেন সম্রাটের বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা হয়েছে তা এখনই বলতে চাই না। বা তার সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত সেটি রিমান্ডে নেয়ার পর বলতে পারব।
সম্রাটকে ইতিমধ্যে কেরানীঞ্জ কারাগারে নিয়ে গেছে র্যাব।
রোববার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সম্রাটের আটকের পর রাজধানীর কাকরাইলে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, আমরা গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকেই ক্যাসিনো অভিযান শুরু করি। আজ সেই অভিযানের ১৯তম দিন। এই অভিযানে একটি নাম বারবারই উঠে এসেছিল।
তিনি বলেন, ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে খুঁজতে একটি গোয়েন্দা টিম গঠন করা হয়েছিল। আমরা আজ ভোরে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করি। আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। মদপান করার কারণে আরমানকে কুমিল্লার আদালতে ৬ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে।
র্যাবের মিডিয়া উইং বলেন, আরমানকে কুমিল্লায় রেখে সম্রাটকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। সম্রাটের দেয়া তথ্য মতে আমরা আজ তার কাকরাইলের অফিসে অভিযান পরিচালনা করি। আমরা তার অফিস থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র, ১১৬০ পিস ইয়াবা, ১৯ বোতল মদ, দুটি বন্যপ্রাণীর চামড়া, দুটি ইলেক্ট্রিক শক দেয়ার যন্ত্র উদ্ধার করেছি।