উচ্ছেদ, ফের দখল, ফের উচ্ছেদ, ফের দখল। এমনটাই চলছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-৫ এর শেরে বাংলা নগর এলাকায়। শেরে বাংলা নগর এলাকায় গত পাঁচ মাসে তিনবার উচ্ছেদ অভিযান করলেও পেশিশক্তির কারণে দখলমুক্ত করা যায়নি এই এলাকার ফুটপাত ও সড়ক।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে শেরে বাংলা নগরের আগারগাঁও এলাকায় ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন নেতৃত্বে তৃতীয়বারের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে আগারগাঁও থেকে তালতলা সড়ক, তালতলা থেকে বিজ্ঞান জাদুঘর সড়ক এবং আগারগাঁও থেকে শ্যামলী সড়কের ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে নির্মিত প্রায় ১৮০টি টং দোকান ও অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এর আগে গত ২৬ জুন এই একই জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির এই অঞ্চলের তখনকার দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান। সে সময়ও দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এর পর এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গত ২৩ জুলাই আগারগাঁও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এবং শিশু হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালায় সিটি করপোরেশন। ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা প্রায় আড়াইশ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই অভিযানটিও পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান। এতে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসি প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজি।
কিন্তু এক মাসেরও কম সময়ে দখল হয়ে যায় ফুটপাতগুলো। স্থানীয়রা বলছেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ক্ষমতার ওপর ভর করেই ফুটপাতে বসছে অবৈধ দোকানপাট। আর এসব দোকান থেকে দৈনিক ও মাসিক হারে টাকা আদায় করেন প্রভাবশালীরা। ফলে উচ্ছেদ হলেও আবারও ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার ওপর ভর করে দোকান বসানো হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এসব দোকান থেকে দৈনিক ও মাসিক হারে টাকা আদায় করেন প্রভাবশালীরা। ফলে উচ্ছেদ হলেও আবারও ক্ষমতাসীনদের কব্জায় ভর করে ফুটপাতে বসে টং দোকানের পসরা।
ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থারও সহযোগিতা চান তারা।