প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনরা চমকে উঠেছেন একমাত্র মেয়ের হাতে মায়ের খুনের ঘটনা জেনে। স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী স্বীকার করেছেন, তিনিই মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।
মাকে খুন করে সেই দেহ বাড়িতে লুকিয়ে রাখে মেয়ে। তারপর প্রেমিকের সঙ্গে সেই বাড়িতে তিনদিন বাসও করে। এমনই অভিযোগ এসেছে হায়দরাবাদের হায়াতনগরের এক তরুণীর বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি একটি পঁচা মরদেহ পাওয়া যায় রামান্নাপেট রেলওয়ে ট্র্যাকে। রজিতা নামক এক নারীর নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ বাদে।
তিনি জানান, ফরেনসিক তদন্ত ও ময়না তদন্তের পরে পুলিশ নিশ্চিত হয় ওই দেহটি নিখোঁজ রজিতারই। তদন্ত শুরু হয়েছে, স্থানীয় কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী কীর্তি রেড্ডি ও তার প্রেমিক, যিনি তার প্রতিবেশীও, তাদের জেরা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তরুণীর বাবা পেশায় চালক। তিনি বাইরে গিয়েছিলেন। নিখোঁজ স্ত্রীর সন্ধানে তিনি বাড়ি আসেন। সেই সময় তার মেয়ের কথায় অসঙ্গতি মেলায় তিনি তাকে নিয়ে নিয়েই থানায় অভিযোগ জানাতে যান। তদন্ত শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, কীর্তি রেড্ডির হায়দরাবাদে না থাকার দাবি সত্যি নয়।
সূত্র জানায়, পুলিশের বিশ্বাস তাদের সম্পর্ক নিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বলে কীর্তি রেড্ডি তার মাকে খুন করেন প্রেমিক শশীর সাহায্য নিয়ে। খুন করার পর তিনদিন মায়ের মরদেহ বাড়িতেই রেখে দেন তিনি। পরে দুর্গন্ধ যখন আর সহ্য করা যাচ্ছিল না, তখন সেই দেহ রেললাইনে ফেলে আসা হয়।
কীর্তি রেড্ডি প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন, তার মা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। কারণ হিসেবে বাবার মদ্যপ অবস্থায় রজিতাকে মারধরের কথাও জানান তিনি। কিন্তু তার বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় পুলিশের সন্দেহ তার দিকেই ঘনীভূত হয়। অবশেষে তিনি স্বীকার করেন, তিনিই মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। সেই সময় শশী রজিতার মা ধরে ছিলেন।