ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে সবসময় এক সাধারণ জীবন-যাপন করেন এটা প্রায় সবারই জানা। কেননা জীবনের অনেকটা সময় তিনি ভীষণ পরিশ্রম আর কষ্ট করে কাটিয়েছেন। যদিও পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন বিজেপির হাত ধরে টানা দুইবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সৌদি আরব সফর রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর সেখানে তিনি নিজের জীবন সম্পর্কে বেশ কিছু অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক পরিবারে বড় হইনি। একটি সাধারণ পরিবারে বেড়ে উঠেছি।’
দেশে-বিদেশে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের উদ্যোগ (এফআইআই) প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আমি বড় কোনো রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসিনি। তাই আমি বই-পুস্তক পড়ে দারিদ্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পাইনি, বরং আমি দারিদ্র্যতার মধ্যেই বসবাস করেছি। জীবনের বড় একটি সময় রেল স্টেশনে চা বিক্রি করে আজ এই পর্যন্ত এসেছি।’
মোদীর ভাষায়, ‘আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দারিদ্র্য দূরীকরণে আমরা সফল হব। যখন একজন দারিদ্র ব্যক্তি নিজেই বলেন যে, তিনি নিজ থেকে তার দারিদ্র্যতা শেষ করবেন। তখন এর চেয়ে বড় সন্তুষ্টি আর কিছুই হতে পারে না। আমাদের কেবল তখন তাকে ক্ষমতা এবং সম্মান অর্জনে সহায়তা করাই উচিত; আর কিছু নয়। দরিদ্র্যদের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই শুধু দারিদ্রদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই সীমিত। তাই এই দরিদ্রদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন।’
ভারতে টয়লেট নির্মাণ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত দেশের দারিদ্র জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতাবান করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘ভারতে যখন পরিবর্তন আসে তখন গোটা বিশ্বের পরিসংখ্যানই বদলে যায়। যা আমাদের কাছে বিরাট গর্ভের একটি বিষয়।’