স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র ও গুলি জমা দিয়ে কক্সবাজারের ১২ টি জলদস্যু বাহিনীর সর্বমোট ৯৬ সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে কক্সবাজার জেলা পুলিশ এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় আত্মসমর্পণকারী ৯৬ জলদস্যুর প্রতিজনকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার জলদস্যু বাহিনীগুলো আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাদের এ আগ্রহের প্রতি সাড়া দিয়ে সরকার জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিতেই আজকের এ অনুষ্ঠনের আয়োজন করেছে।
জানা গেছে, আত্মসমর্পণকারীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। তবে সন্ত্রাস ও দস্যুতার পথ পরিহার করে স্বভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য গতবারের মতো পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের তরফ থেকে তাদেরকে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, এ আত্মসমর্পণের পর মহেশখালী সম্পূর্ণ সন্ত্রাসমুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আবসার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।