আওয়ামী যুবলীগের নতুন চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, আমি যুবলীগের চেয়ারম্যান নই, আমি একজন কর্মী। কর্মী হিসেবেই আমি কাজ করে যাব।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে যুবলীগের সপ্তম সম্মেলনে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে পরশের নাম ঘোষণা করা হয়। পরে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
যুবলীগের নতুন চেয়ারম্যান বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমার বাবা যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনি ও মা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে উদ্ধৃতি করে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, তিনি বলেছিলেন- শহীদদের রক্তে তৈরি অনুভুতির নাম আওয়ামী লীগ। আমি শহীদের সন্তান। ছোট বেলায় বাবা-মাসহ স্বজনদের হারিয়েছি। এ জন্য রাজনীতি থেকে দূরে ছিলাম। শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা আমাদের দুঃখ অনুধাবন করেন।
তিনি বলেন, যিনি জাতির জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাকেই নির্মমভাবে ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা করেছে। তখন আশা হারানোই স্বাভাবিক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তার কন্যার বাংলাদেশের প্রতি যে ভালোবাসা, আমি তা থেকে সাহস পাই। যে দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে, আমি তা সততার সঙ্গে পালন করব।
তিনি আরও বলেন, আমি যুবলীগের সভাপতি হিসেবে নয়, কর্মী হিসেবে কাজ করব। আমার শক্তি আপনারাই। আমার বাবা মনি জাতির পিতার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পক্ষে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে এ সংগঠন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে এ সংগঠন কাজ করেছে, আজও করছে।
১৯৭৫ সালের ট্রাজেডিতে মা-বাবাকে হারান পরশ। তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি সরকারি বালক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পিএইচডি ডিগ্রি নেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ইউনিভার্সিটি থেকে। তিনি দেশে ফিরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন।
তাকে রাজনীতির মাঠে দেখা যেত না, যদিও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ছোট ভাই শেখ ফজলে নূর তাপসের ভোটের প্রচারেও তাকে তেমন দেখা যেত না।
সম্প্রতি ভাবমূর্তি সঙ্কটে পড়ে বাবার প্রতিষ্ঠা করা যুবলীগ। ফুপু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনের ভাবমূর্তি উদ্ধারে রাজনীতিতে সক্রিয় হলেন পরশ। এমনটাই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।