পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকেননি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি, সংসদ সদস্য শাজাহান খান। তিনি বলেন, শোনেন, অচলাবস্থা..., আমরা কেউ ধর্মঘট ডাকিনি। আমরা ধর্মঘট ডাকিনি। যেটা মন্ত্রী মহোদয়ও প্রমাণ পেয়েছেন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে...আপনারা যেটা বলেছেন ফাঁসি হবে, এই হবে সেই হবে- এ সব অপপ্রচারের কারণে শ্রমিকরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এই অচলাবস্থা করেছে।
রববার (২৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্স কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দাবিটা ছিল এ কারণে যে, আপনারা কিন্তু পত্রপত্রিকায় লেখেন এখনও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। বাস্তবতাটা আপনারা উপলব্ধি করতে পারছেন কি-না আমি জানি না। বাস্তবতাটা হলো, লাইসেন্সের কথা মাননীয় মন্ত্রী বলছেন, অনেক ঘাটতি আছে, লাইসেন্স দিতে পারছে না বিআরটিএ। ভুয়া ও ফেক লাইসেন্স নিয়ে যদি কেউ গাড়ি চালায় তার তো জরিমানা হবে, জেল হবে। সে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালাতে পারছে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি বলেন, অনেক গাড়ির ফিটনেস না থাকায় সেই গাড়ি আইনের কারণে চালাতে পারছে না, ওই আইনের কারণে। সে জন্য রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম। এই বাস্তবতাটা আপনারা লেখেন না, লেখেন স্বাভাবিক হয়নি। আমি মনে করি সবই স্বাভাবিক চলছে। লাইসেন্স ও কাগজপত্র নেই, সে কারণে (গাড়ির) ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, কয়েকটি ধারা জামিনযোগ্য করার বিষয়ে বলা হয়েছে, একজন ড্রাইভার কত টাকা আয় করে। সে তার সীমিত আয় দিয়ে সংসার পরিচালনা করে। একজন ড্রাইভার মাসে ১৫ দিনের বেশি গাড়ি চালাতে পারে না। ১৫ দিনের আয় দিয়ে তাকে এক মাস সংসার পরিচালনা করতে হয়। জেল যা আছে সেটা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা সরকারের কাছে দাবি করেছি, একজন ড্রাইভার যদি দুর্ঘটনা ঘটান সে যদি দীর্ঘদিন জামিন না পান তবে ড্রাইভারের ঘাটতি পড়ে যাবে। এক বছরে সারাদেশে ৩-৪ হাজার দুর্ঘটনা হয়, তাহলে ৩-৪ হাজার ড্রাইভারের ঘাটতি পড়ে যাচ্ছে। আমরা এখনও কিন্তু ৩-৪ হাজার ড্রাইভার প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করতে পারছি না, আমাদের সেই ক্যাপাসিটি নেই। এ কারণেই বলেছি দুর্ঘটনা ঘটালে তদন্ত করে বিচার হবে সেই বিচারে যা হওয়ার হবে, কিন্তু সে (ড্রাইভার) যেন জামিনটা পায়। এতে ঘাটতির জায়গাটা পূরণ হবে।
তবে তো দুর্ঘটনা আরও বাড়বে- একজন সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, এটা ঠিক নয়। কেউ যদি একবার অপরাধ করে, সেই কিন্তু অপরাধ ইচ্ছা করে করে না, করতে চায় না।