রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের পদক্ষেপের ব্যপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন সক্রিয় ও উদ্বিগ্ন রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সার্বভৌম দেশ, তাই কাউকে এ নিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে পারে না চীন।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কৌশল সন্ধান’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো পক্ষপাত নেই চীনের। গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কূটনীতি অব্যাহত রেখেছে চীন। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সার্বভৌম দেশ, তাই এ নিয়ে কোনো দেশের ওপরই চাপ প্রয়োগ করতে পারে না বেইজিং। রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে একটি নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চীন কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চি ব্যক্তিগতভাবে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সরকারের পক্ষে লড়বেন। এখন দেখার বিষয় কী ঘটে। আমরা চাই, রোহিঙ্গারা সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যাক। কিন্তু দুর্ভাগ্য একজন রোহিঙ্গাও এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে ফেরত যায়নি।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) স্থানীয় প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস বলেন, রোহিঙ্গারা যেখানে রয়েছে আমার ৩০ বছর জীবনে এমন অবর্ণনীয় যন্ত্রণাদায়ক শরণার্থী ক্যাম্প দেখিনি। একমাত্র বাধ্য হয়েই তারা সেখানে বসবাস করছে। শতকরা ৯৭ জন রোহিঙ্গা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে মিয়ানমারে ফিরে যাবেন। এ জন্য দরকার শান্তিপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় নিরাপদ প্রত্যাবাসন।