একজন সুস্থ-সবল যুবক তৌকির মাহফুজ। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনও প্রায় শেষ, ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অভিযোগ উঠেছে, তিনি সুস্থ থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হয়েছেন।
ভর্তির সময় তিনি দেখিয়েছিলেন তিনি কানে শুনতে পান না। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক কলা অনুষদের ডিন ড. মো. সরওয়ার মুর্শেদ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের সভাপতি ড. সালমা সুলতানা ও ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কামাল আজাদ। কমিটিকে যথা শিগগির বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ড. হারুন-উর-রশিদের কাছে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে তদন্ত কমিটি হওয়ার পর তৌকির মাহফুজসহ শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি) প্রো-ভিসি ড. শাহিনুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে তারা তৌকির মাসুদের বিষয়ে করা তদন্ত কমিটি স্থগিত করতে অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে তৌকির মাহফুজ মাসুদ বলেছেন, ‘তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা আগে কেন জানানো হয়নি। এখন একটি গ্রুপ আমাকে হেয় করার জন্য এসব কাজ করছে।’