বগুড়ায় ট্রেনচালকের সদিচ্ছায় প্রাণে বেঁচে গেল শত শত মানুষ। তবে প্রাণহানি ঘটনা না ঘটলেও রেললাইনের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বেশ কিছু দোকানের মালামাল নষ্ট হয়েছে। এ সময় হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতা আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বগুড়া রেলস্টেশনের অদূরে ‘হঠাৎ মার্কেটে’ এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বগুড়া রেলস্টেশনে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেসের সঙ্গে দিনাজপুর থেকে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেসের ক্রসিং ছিল। লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনের ১নং লাইনের অপেক্ষা করছিল। কাজেই দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ১নং লাইনের পরিবর্তে ২নং লাইনে প্রবেশের সিগন্যাল দেয়া হয়। কিন্তু ২নং রেল লাইনের ওপর গড়ে ওঠা হঠাৎ মার্কেটের দোকানিরা ভেবেছিল, দোলনচাঁপা ট্রেনটি ১নং লাইনে প্রবেশ করবে। দুপুর দেড়টায় যথাসময়ে দোলনচাঁপা ট্রেনটিকে ২নং লাইনে প্রবেশ করতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা মালামাল ফেলে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। বিষয়টি দেখে চালক আগেই ট্রেন থামিয়ে দেন। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় শত শত মানুষ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মরিয়ম বেগম নামের একজন গৃহবধূ জানান, তিনি কেনাকাটা করার জন্য ছিট কাপড়ের দোকানে এসেছিলেন। হঠাৎ দোকানের দিকে ট্রেন আসতে দেখে তিনি দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পান।
বগুড়া রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার এস এম আব্দুল্লাহ বলেন, দোলনচাঁপা ট্রেন ভুল করেনি। ট্রেনটি সঠিক লাইনেই প্রবেশ করে। চালক ট্রেন থামানোর কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা রক্ষা পাওয়া গেছে। স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় এবং গতিবেগ কম থাকায় ট্রেন থামনো সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান, সম্প্রতি রেলের উচ্ছেদ অভিযানে হঠাৎ মার্কেটের দোকানগুলোও উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তুু ২/১ দিন বন্ধ রাখার পর তারা আবারও রেললাইনের ওপর ঝুঁকি নিয়ে দোকান বসায়।