Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ বুধবার, মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মমতাকে বিশাল জয় উপহার দিয়ে মোদিকে পরাজিত করলো পশ্চিমবঙ্গের জনগণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৭ PM
আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনে উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস।  তিনটি আসনেই জয় করে চমক দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির উত্থানে মমতা বেশ চাপে ছিলেন। খড়গপুর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জ আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে খড়গপুর ও কালিয়াগঞ্জে  প্রথমবারের মতো জয় পেয়েছে মমতার দল।

 

২০১৬ সালে খড়গপুর সদর বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই দিলীপের গড়ে বিজেপিকে ২০৮৫৩ ভোটে হারিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।  লোকসভা ভোটের তুলনায় প্রায় ৬৬ হাজার ভোট পুনরূদ্ধার করেছে তারা।   

কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনে প্রথম থেকে এগিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শেষবেলায় বাজিমাত করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।  ২৪১৪ ভোটে জিতেছে তারা।  লোকসভা ভোটের তুলনায় প্রায় ৬০ হাজার ভোট পুনরূদ্ধার করেছে ঘাসফুল শিবির।    

করিমপুর বিধানসভা আসনে প্রথম থেকে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বিজেপিকে ২৪০৭৩ ভোটে হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়। লোকসভা ভোটের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার বাড়তি ভোট এসেছে তৃণমূলের ঝুলিতে। 

ঐতিহাসিক জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি এর আগে কালিয়াগঞ্জের রাজবংশীদের ভুল বুঝিয়েছিল। কিন্তু এবার আর তারা বিজেপি-র ফাঁদে পা দেননি। তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। খড়গপুরে অবাঙালিরা আমাদের প্রচুর ভোট দিয়েছেন। সব ধর্ম, জাতি ও ভাষাভাষি মানুষ যে তৃণমূলের পাশে রয়েছেন, আমাদের সমর্থন করছেন তা এই ভোট ফলাফলে পরিষ্কার। এই জয় তাই মানুষের জয়।

এনআরসি কি প্রভাব ফেলেছে? মমতার জবাব, আপনাদের আমি বলি, এনআরসি নিশ্চিতভাবে কাজ করেছে। তবে একটা একটা জায়গায় একেক রকম ইস্যু রয়েছে। লোকসভায় কালিয়াগঞ্জে রাজবংশীরা ভোট দেয়নি। তখন প্রাইভেট অপারেটরদের দিয়ে ইভিএমের কাজ করানো হয়েছিল। করিমপুরে অর্ধেক উদ্ধাস্তু হিন্দু ও মুসলিম। খড়্গপুরের মানুষও বুঝতে পেরেছে। সবাই আমাদের ভোট দিয়েছে। এটাও একটা কম্বিনেশন। 

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে তৃণমূলকে সকলে ভোট দিয়েছে বলেও দাবি মমতার। তাঁর কথায়, ''আমি রাজবংশী আমার দরকার বাংলা। আমি আদিবাসী তৃণমূলকে দরকার। আমি মুসলিম, আমার সংস্কৃতি তৃণমূল রক্ষা করতে পারবে। হিন্দুরা মনে করে সর্বধর্ম সমণ্বয় করতে পারবে একমাত্র তৃণমূল। অবাঙালিরাও বাংলায় ভালো আছেন। তাঁরাও শিক্ষা, স্বাস্থ্যের সুবিধা পাচ্ছেন। সবার ভোট পেয়েছি। এটা সবচেয়ে বড় জয়। উপনির্বাচন হলেও গুরুত্বপূর্ণ।'' 

মমতা আরও বলেন,''বিজেপির ঔদ্ধত্য বেড়ে গিয়েছে। একেক জন নেতা নিজেকে কী মনে করছে! বাপরে বাপ। আয়নায় মুখ দেখে না নিজেদের। শতছিদ্র নিজেদের। অথচ যেন ওয়াশিং মেশিন হয়ে গিয়েছে বিজেপি। সবাই চোর, দুর্নীতিবাজ, দেশদ্রোহী। ওদের ওয়াশিং মেশিনে যাও পরিষ্কার হয়ে চলে আসবে। এটা বিভ্রান্তিমূলক রাজনীতি।''

 

 

 

Bootstrap Image Preview