বুয়েটে র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় সোহরাওয়ার্দী ও আহসানউল্লাহ হলের ৩৩ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে প্রশাসন।
এদের মধ্যে একাডেমিক কার্যক্রমে থেকে বিভিন্ন মেয়াদ কিংবা হল থেকে আজীবন বহিষ্কার হয়েছেন- এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৩৬ জন। বাকিদের সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তর পরিচালক ও বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের সদস্যসচিব অধ্যাপক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷
সোহরাওয়ার্দী হল থেকে তিন জনকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা হলেন- মো. মোবাশ্বের হোসেন শান্ত, এ এস এম মাহাদী হাসান ও আকিব হাসান রাফিন।
একই হলের ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে হল থেকে বহিষ্কার এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্কীকরণ চিঠি দেয়া হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীরা হলেন- কাজী গোলাম কিবরিয়া রিফাত, মো. সাকিব হাসান, মো. সাজ্জাদুর রহমান, সাকিব শাহরিয়া, শেখ আসিফুর রহমান আকাশ, মো. রাইহান তাহসিন, মেহেদী হাসান, তৈয়ব হাসান, এ এফ এম মাহফুজুল কবির, মো. বখতিয়ার মাহবুব মুরাদ, সৈয়দ শাহরিয়ার আলম প্রত্যয়, মো. তৌফিক হাসান, মো. কুতুবুজ্জামান কাজল, মো. তাহমিদুল ইসলাম, ফেরদৌস হাসান ফাহিম, মো. আল আমিন ও তাহাজিবুল ইসলাম।
অন্যদিকে আহসানউল্লাহ হল থেকে ছয় জন হলো- সৌব্যসাচী দাস, সৌমিত্র লাহিড়ী, প্লাবন চৌধুরী, নাহিদ আহমেদ, অর্ণব চৌধুরী, মো. ফরহাদ হোসেনকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সতর্কীকরণ চিঠি দেয়া হয়েছে মোট চার জনকে। তারা হলেন- মো. তাসনিম ফারহান ফাতিন, লোকমান হোসেন, শাফকাত বিনি জাফর ও তানজির রশিদ আবির।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ১০ দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও সর্বশেষ তিন দফা দাবি তোলেন। দাবিগুলো হলো- মামলার অভিযোগ পত্রের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার, বুয়েটের আহসানউল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বিষয়ে অভিযুক্তদের অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি প্রদান- সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি ও নির্যাতনের বিষয়ে শাস্তির আইন প্রণয়ন করা এবং তা বাস্তবায়ন করা। এর প্রথম দুটি মেনে নিয়েছে প্রশাসন।