Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ বুধবার, মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিধবা নারীকে ‘কে আগে ধর্ষণ করবে’ তা নিয়ে বন্ধুদের মারামারি, নিহত ১

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:৩৮ PM
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:৩৮ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


বিধবা এক নারীকে রাস্তা থেকে তুলে জঙ্গলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। এরপর ‌‘কে আগে ওই নারীকে ধর্ষণ করবে’ তা নির্ধারণ করতে তাদের মধ্যে লেগে যায় মারামারি। এ ঘটনায় প্রথমে ধর্ষণ করতে চাওয়া এক অপহরণকারীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে অপর চারজন। পরে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অপহরণকারীরা।

চাঞ্চল্যকর এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলার নেভেলি এলাকায়। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় জড়িত চার সন্দেহভাজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই চারজনের বিরুদ্ধে তাদেরই এক বন্ধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন- এস কার্তিক (২৩), এম সতীশ কুমার (২৩), সি রাজাদুরাই (২৫) এবং এ সিভাবালান (২২)। আর যে সঙ্গীকে তারা মেরে ফেলেছেন তার নাম হলেন- এম প্রকাশ (২৬)। অভিযুক্তরা পেশায় দিনমজুর ছিলেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ুর নেভেলিতে ৩২ বছরের এক বিধবা নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মুদি দোকান থেকে ফেরার পথে তার রাস্তা আটকায় অপহরণকারীরা। ওই সময় রাস্তা দিয়ে একাই ফিরছিলেন তিনি। সে সময় অপহরণকারী পাঁচজনই মদ্যপ ছিলেন।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, রাস্তায় ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন অভিযুক্তরা। ওই নারী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন; কিন্তু অপহরণকারীরা ধাওয়া দিয়ে আটক করে তাকে। এরপর তাকে টেনে হেঁচড়ে পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে যায় তারা।

জঙ্গলে নেওয়ার পর কে আগে ওই নারীকে ধর্ষণ করবে তা নিয়ে অপহরণকারীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এম প্রকাশ নামে এক অপহরণকারী প্রথমে ওই নারীকে ধর্ষণ করতে চাইলে বাকিরা তাতে আপত্তি জানায়। পরে বাকি চারজন তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর অবচেতন অবস্থায় মরদেহের পাশে রেখে পালিয়ে যায়।

জ্ঞান ফেরার পর গণধর্ষণের শিকার নারী পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে কুড্ডালো পুলিশ।

Bootstrap Image Preview