ভারতের সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে গচ্ছিত দুইটি সিন্দুক বহু বছর ধরে পড়ে ছিল। মরিচা পড়ে গিয়েছিল সিন্দুক দুইটির ভেতরে-বাইরে। সিন্দুক দুইটির মধ্যে একটি শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) খোলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে অনেকক্ষণ চেষ্টার পর একটি সিন্দুকের চারটি তালা ভেঙে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য সিন্দুকটি ভাঙার চেষ্টা চলছে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সেই সময় বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই নথি সিন্ধুক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, সিন্দুকে ১৯১৯ সালের গঙ্গামণি দেবী সিলভার মেডেল, ড. এন মুখার্জী মেডেল, ১৯৮২ সালের চেক বই, সংস্কৃত কলেজের পুরনো কাগজপত্র, ৭টি চিঠির খাম, তিনটি মেডেল, ১৯৫৬ সালের মুক্তকেশী দেবী ফাউন্ডেশনের কাগজপত্র পাওয়া গেছে।
সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান মণিশঙ্কর মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দুটি সিন্দুক পাওয়া গেছে। একটা খোলা হয়েছে। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। বিদ্যাসাগারের আমলের কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন।’