প্রেমিকের কাছে প্রতারিত হয়ে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দগ্ধ হওয়া সেই কলেজছাত্রী দেলোয়ারা বেগম দিলুর (২৫) মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফরিদপুরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকার প্রেমিক স্বাধীনের বাড়িতে নিজের গায়ে নিজেই আগুন ধরিয়ে দগ্ধ হন দেলোয়ারা বেগম দিলু। নিহত দিলু ফরিদপুরের উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকার বেল্লাল শেখের মেয়ে।
নিহতের ভাই রাকিব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার বোন দিলুর সাথে একই এলাকার শেখ কুদ্দুসের ছেলে আল আমিন ওরফে স্বাধীনের (২৭) দীর্ঘ চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এই চার বছরে স্বাধীন প্রেমের ছলনায় তার বোনের কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সম্প্রতি প্রেমিক স্বাধীনের বিয়ের খবর পেয়ে গত ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় তার বাড়িতে কেরোসিন হাতে যান দিলু। এরপর স্বাধীনকে বলেন, ‘আমাকে বিয়ে করতে হবে, নইলে আমি গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেবো।’
অভিযোগ রয়েছে, এ সবম দিলুকে স্বাধীন কিংবা তার পরিবারের কেউ নিবৃত্ত না করে বরং আত্মহত্যার প্ররোচনা করেন। একপর্যায়ে দিলু একটি ঘরে ঢুকলে স্বাধীনের মা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় দিলু গায়ে কেরোসিন ঢেলে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
পরে দিলুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে নেওয়া হয়। সেখানে গত চারদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ বিকেলে মৃত্যু হয় তার।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের মা মমতাজ বেগম বাদি হয়ে ঢাকার শাহবাগ থানায় আজ শনিবার বিকেলে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান দিলুর ভাই রাকিব। মামলায় স্বাধীনসহ তার বাবা বেল্লাল শেখ ও মা মনোয়ারা বেগমকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই বেলাল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে লোকমুখে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।