চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে মশার ওষুধ ছিটাতে গিয়ে বাধা-বিপত্তির কথা উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, অনেক ভবনের বাসিন্দারা শরীরের ক্ষতি হবে ভেবে মশার ওষুধ ছিটাতে দেন না।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় পুরোনো নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে মেয়র দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, বাধা–বিপত্তি ও জটিলতার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বেলা ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বাসাবাড়ি থেকে এবং রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ময়লা–আবর্জনা অপসারণে কাজ করেন। কিন্তু এই সময়ের পরও লোকজন যেখানে–সেখানে ময়লা ফেলেন। অনেক নালা–খালে নিক্ষেপ করেন। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তবে এসব বন্ধে করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভাব এবং পুলিশ না পাওয়ার কারণে অনেক সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা যায়নি বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, হকারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। তারপরও তাঁরা বসছেন। আবার কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ মামলা রয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
মহানগরীতে নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে তিনি জানান, মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর নগরের পিচঢালা সড়ক ৫৬০ কিলোমিটার থেকে বৃদ্ধি করে ৮১৬ কিলোমিটার, ২৫০ কিলোমিটার পাকা নর্দমা নির্মাণ, ৪১ কিলোমিটার নতুন ফুটপাত নির্মাণ, ২০ কিলোমিটার প্রতিরোধ দেয়াল, ৩১টি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নগরের ৮০ ভাগ এলাকা আলোকায়নের আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩০৪ কিলোমিটার সড়কে ৬৪ হাজার ৬৮৩টি এলইডি বাতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে করপোরেশন।
সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।