Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২২ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

শীতের আগমণে জমে উঠেছে পিঠা-পুলির দোকান

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:২২ PM
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:২২ PM

bdmorning Image Preview


শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কোম্পানীগঞ্জে পুলি ও ভাপা পিঠা ব্যবসা জমে উঠেছে। শীতের সন্ধ্যার পর পর ধোঁয়া উঠা ভাপা পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করে বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে ভ্রাম্যমাণ দোকানে পিঠা খাওয়া ও বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে পিঠা বিক্রি ও খাওয়ার পালা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট, বাংলাবাজার,চৌধুরীহাট, এলাহী বাজার, হাজারীহাট বাজার সহ বিভিন্ন হাটে দেখা মেলে ভাপা ও পুলি পিঠার দোকান।

পিঠা বিক্রেতারা জানান,গুড় ও নতুন চালের গুড়ি দিয়ে ভাপা পিঠা বানানো হয়। গরম পানির তাপে (ভাপে) এ পিঠা তৈরি হয় বলে একে ভাপা পিঠা বলা হয়। এ পিঠাকে আরো সুস্বাধু ও মুখরোচক করতে নারকেল ও গুড় ব্যবহার করা হয়। পিঠা তৈরিতে একটি পাতিল ও ঢাকনা ব্যবহার করা হয়। জলন্ত চুলার উপর পাতিলে পানি দিয়ে ঢাকনার মাঝখানটা ছিদ্র করে পাত্রের মুখে দিতে হয়। এ সময় ঢাকনার চারপাশে আটা, চালের গুড়ি ও কাপড় দিয়ে শক্ত করে মুড়ে দেয়া হয়। যাতে করে গরম পানির ভাপ বের হতে না পারে।

তারা আরো জানান, পরে ছোট একটি গোল পাত্রের মধ্যে চালের গুড়ি, নারকেল ও গুড় মিশিয়ে পাতলা কাপড়ের আবরণে ঢাকনার মুখে রাখা হয়। পানির হালকা গরম তাপে নিমিষেই সিদ্ধ হয়ে যায় নতুন চালের মজাদার ভাপা পিঠা। একটি পিঠা বানাতে ২ থেকে ৩ মিনিট সময় লাগে। পাতিলের মুখ থেকে পিঠা উঠানোর সময় নতুন চাল ও গুড়ের মন মাতানো গন্ধে ভরে যায় চারপাশ। প্রতি পিস পিঠা মানভেদে ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হয়।

চৌধুরীহাট বাজারে ভাপা পিঠা বিক্রেতা রশিদুল ইসলাম জানান, শীতের সময় এলেই তিনি ভাপা পিঠা বিক্রি করেন। এ ব্যবসায় অল্প পুজি লাগে বলেই কোন সমস্যা হয় না। এছাড়া লাভ ভালোই হয়। কোন কোন দিন হাজার টাকাও লাভ হয় বলে জানান ভ্রাম্যমাণ এ পিঠা বিক্রেতা।

হাজারীহাট বাজারের ভাপা পিঠা ব্যাবসায়ী বেলাল জানান, ভাপা পিঠার দাম অল্প হওয়াতে সব ধরনের মানুষই এখানে ভিড় করে পিঠা খেতে। কেউ কেউ আবার পিঠা কিনে নিয়ে যায় প্রিয়জনের জন্য।

এলাহী বাজারের পুলি পিঠা ব্যাবসায়ী শরিয়ত উল্যাহ জানান, প্রতি শীতে আমি পুলি পিঠা, ভাপা পিঠা তৈরি করে বিক্রি করি।মানুষ বেশ খাই।

অপরদিকে ইসমাইল হোসেন, সবুজ, আবদুর রহমান জানান, শীতের সময় ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমাদের শীতের সঙ্গে পিঠার যে একটা নিবির সম্পর্ক তা ভাপা পিঠা খাওয়ার মধ্যেই বোঝা যায়। প্রায় দিনই তারা দল বেঁধে এলাহী বাজার পিঠা খেতে আসেন বলে জানান।

Bootstrap Image Preview