ভারতের হায়দরাবাদে এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সরব পুরো দেশ। এমন পরিস্থিতিতে দেশের ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের জন্য ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে দায়ী করেছেন উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রাচী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, ভারতের চলমান ধর্ষণ ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে গতকাল রোববার জওহরলাল নেহেরুকে ধর্ষক বলে মন্তব্য করেন সাধ্বী প্রাচী। এদিন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করতে গিয়ে নেহেরুকেও টেনে আনেন তিনি।
সাধ্বী প্রাচী বলেন, ‘সন্ত্রাস, দুর্নীতি এবং ধর্ষণ- এই সবকিছুই নেহেরুরই দেওয়া উপহার। রাহুল গান্ধী কী বলবেন, আমাদের দেশটা হলো রাম আর কৃষ্ণের দেশ। আর এই দেশের সবচেয়ে বড় ধর্ষক ছিলেন নেহেরু। তিনি আমাদের রাম এবং কৃষ্ণের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।’
এর আগে গত শনিবার ভারতে একের পর ধর্ষণের জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপিকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
সেদিন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘বিশ্বের কাছে এখন ভারতের পরিচয় ধর্ষণের রাজধানী হিসেবে। বিদেশিরা প্রশ্ন তুলছেন, কেন ভারত নিজের মেয়ে ও বোনদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। উত্তর প্রদেশের একজন বিজেপি বিধায়ক ধর্ষণে অভিযুক্ত। কিন্তু এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এখনো একটা শব্দও বললেন না। আসলে আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, যিনি নিজেই ঘৃণা ও হিংসার আদর্শে বিশ্বাসী।’
এর আগে, পশু চিকিৎসককে ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন চার অভিযুক্ত গত শুক্রবার ভোরে তেলেঙ্গানার সাদনগরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।