Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ বুধবার, মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিতে ভারতের পার্লামেন্টে বিল উঠছে আজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২২ AM
আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২২ AM

bdmorning Image Preview


অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে ভারতের পার্লামেন্টে উঠছে দেশটির বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। আজ সোমবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিলটি উত্থাপনের কথা রয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সহজেই এটি পাস হবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এর আওতায় ভারতে ৫ বছর থাকলেই নাগরিকত্ব পাবে অমুসলিমরা।

গত বুধবার বিলটি পার্লামেন্টে তোলার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। লোকসভার পর বিলটি যাবে রাজ্যসভায়। তবে বিজেপির সঙ্গে সংঘাত চললেও এ বিলের পক্ষেই ভোট দেবে আরেক উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনা। পাশাপাশি বিজেডি, টিআরএস, এআইএডিএমকে’র মতো দলগুলোর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে বিজেপি।

বিলটি পাস হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে গিয়ে অন্তত পাঁচ বছর বসবাসকারী অমুসলিমরা দেশটির নাগরিকত্ব লাভ করবেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, ‘আশা করি বিলটি পেশ করা হলে এ নিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর আর কোনো আপত্তি থাকবে না।’

তবে এই বিলের বিরোধিতায় রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আসামের আরও কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, সিপিএম-ও এ বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে।

তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৭২ বছর পর হঠাৎ নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা যায় না। এই এনআরসি আমি মানি না। নাগরিক তালিকায় যদি জানা যায়, নাগরিকরা ভুয়া, তাহলে তো তাদের ভোটে জেতা সরকারও ভুয়া। তাহলে মোদিও ভুয়া, তার সরকারও ভুয়া।’

মমতা বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস আরেকটি স্বাধীনতা আন্দোলন করবে। আপনারা তৈরি থাকুন।’ এনআরসি আতঙ্কে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান মমতা।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আসামে কত জন মারা গেছেন? আমদের তো রেকর্ড থাকে, ওখানে তো রেকর্ডও নেই।’

কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলে তা মেনে নেব। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলে তার বিরোধিতা করব। এই বিল একেবারেই অসাংবিধানিক।’

তবে আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, ধর্মের কারণে বিভিন্ন দেশে যারা নিপীড়নের শিকার হয়েছে, তাদের রক্ষার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। ফলে এটি ধর্মনিরপেক্ষ হবে; এমনটা আশা করা হচ্ছে কীভাবে!

লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এই বিলের পুরোপুরি বিরোধিতা করব। কেননা, এই বিলের মাধ্যমে আমাদের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি লঙ্ঘিত হবে।’

Bootstrap Image Preview