বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় বাংলাদেশে কোনো ধর্মীয় নৃশংসতার ঘটনা ঘটেনি। এমনটাই মন্তব্য করেছেন ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যে কারণে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অমিত শাহ বলেছেন, ‘আজ আমি এই হাউজ ফ্লোর (লোকসভা) থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে চাই। কেননা তার জীবদ্দশায় বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘিষ্ঠের প্রতি একটিও নৃশংসতার ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকার বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।’ এ সময় তিনি ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শাসনামলে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি বেশকিছু নৃশংসতার তালিকাও তুলে ধরেন।
এ দিকে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ভারতীয় লোকসভায় বিরোধী দলের তীব্র আপত্তি, হইচই এবং তর্কবিতর্কের মধ্যেই ৩১১-৮০ ভোটের ব্যবধানে দেশটির বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (এনআরসি) পাস হয়। এবার বিতর্কিত এই বিলটিকে রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হবে। এখানে পাস হলেই বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে আইনে পরিণত হবে।
বিলে বলা আছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নয়। তাদের সবাইকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যদিও এ ক্ষেত্রে মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।
অপর দিকে বিল পাসের সময় ভারত-বাংলাদেশ মধ্যকার শান্তি ও বন্ধুত্ব চুক্তির কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ১৯৭২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। যার আওতায় মূলত ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বেশি সুরক্ষিত ছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে এ চুক্তির অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যের রক্ষণাবেক্ষণ হয়েছিল।’
সদ্য পাস হওয়া এনআরসি ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শরণার্থীদের দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি প্রদানের একমাত্র পথ হলো এই এনআরসি বিল। যার মাধ্যমেই কেবল শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ সহজভাবে সম্পন্ন হবে। যা কোনোভাবেই অসাংবিধানিক নয় এবং এর মাধ্যমে সংবিধানের অবমাননা করা হচ্ছে না।