জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির সময় এজলাসে উভয়পক্ষের ৬০ আইনজীবীর বেশি উপস্থিত থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে অন্যান্য মামলার শুনানি চলাকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে ডেকে পাঠান প্রধান বিচারপতি। সে সময় তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের ৩০ জন ও আসামিপক্ষের ৩০ জন করে সর্বোচ্চ মোট ৬০ জন আইনজীবীকে আসতে।
কিন্তু সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সেই নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে। শুনানি চলার সময় উভয়পক্ষের ৬০ আইনজীবীর বেশি উপস্থিত ছিলেন। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
এদিকে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শুরু করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রেজিস্টার জেনারেল আলী আকবর বিএসএমএমইউয়ের প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। এরপর ১০টা ২০ মিনিট থেকে শুনানি শুরু হয়।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে তার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দাখিল না করা নিয়ে ব্যাপক হইচই করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
গত ২৮ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন চান আপিল বিভাগ। সেদিন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির বেঞ্চ ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করে তাকে মানবিক কারণে জামিন দিতে খালেদার আইনজীবীর আবেদনের পর ওই আদেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু ৫ ডিসেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন প্রস্তুত ও দাখিলের জন্য সময় আবেদন করেন। পরে আপিল বিভাগ খালেদার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কিত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলে ১২ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন।