নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে রক্ত ঝড়ল অসমে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারফিউ উপেক্ষা করে গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে তিন বিক্ষোভকারী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অনেকে।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে অসমের ১০ জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা আরও ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয় সরকার। সেইসঙ্গে শহরের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি-সহ একাধিক শাসকদলের নেতামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
নাগরিকত্ব বিলের সংশোধনীর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন থেকেই উত্তাল অসম। গত বুধবার বিতর্কিত এই বিল সংসদের ছাড়পত্র পাওয়ার পরে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতেই উত্তরপূর্ব ভারতের এই রাজ্যের চার জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর মধ্যে দু-কলাম জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে গুয়াহাটিতে। এ ছাড়া জোরহাট শহর ও তিনসুকিয়া এবং ডিব্রুগড় জেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে রাজ্যে সেনাবাহিনী আছে। শান্তি ফিরিয়ে আনতে সেনাসদস্যরা ফ্ল্যাগমার্চ শুরু করেছেন। গুয়াহাটি এবং ডিব্রুগড়ে ইতিমধ্যে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। যেকোনো ধরনের জমায়েত, মিটিং, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানী গুয়াহাটির রাজপথ কার্যত বিক্ষোভকারীদের দখলে ছিল। সকালে শহরের চারটি স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। এর পরে শহরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। বদলি করা হয় শহরের পুলিশ সুপারকে। এ দিকে, কারফিউ কার্যকর করার জন্য প্রশাসন কড়া হতেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাত বাড়তে থাকে।