দু'মুখো সাপ নিয়ে নানা রকমের গল্প প্রচলিত আছে। শারীরিক ত্রুটিযুক্ত এ ধরনের এক সাপ সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে ভারতের মেদিনীপুর শহরের একটি গ্রামে। কিন্তু কুসংস্কারে বিশ্বাসী মানুষদের জোরাজুরিতে জোড়া মাথার সাপটিকে উদ্ধার করতে পারেনি বন বিভাগ।
বন বিভাগের সরীসৃপ বিশারদ কৌস্তভ চক্রবর্তী জানান, তিনি সাপটিকে কিছুতেই উদ্ধার করতে পারেননি। কৌস্তভ জানান, পৌরাণিক কাহিনীতে বিশ্বাসী একারুখি গ্রামের বাসিন্দারা কিছুতেই ওই সাপ বন বিভাগের কাছে তুলে দিতে চায়নি।
তিনি আরো বলেন, এটি সম্পূর্ণ একটি জৈবিক সমস্যা। আমরা অনেক সময় দেখি একজন মানুষের দু'টি মাথা, বা দু'টো বুড়ো আঙুল রয়েছে। একইভাবে এই সাপেরও দুটি মাথা রয়েছে। এর সঙ্গে পৌরাণিক বিশ্বাসের কোনো সম্পর্ক নেই। এ জাতীয় প্রজাতিকে আলাদা করে রাখলে তাদের আয়ু বৃদ্ধি পায়। সংরক্ষণ করা হলে এই সাপের আয়ু বাড়ানো যেতে পারে।
প্রাণিবিজ্ঞানী সোমা চক্রবর্তীর মতে, দুই মাথাওয়ালা এই সাপ ন্যাজা কটিয়া প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এই প্রজাতির সাপকে বাংলায় খড়িশ সাপও বলা হয়ে থাকে, হিন্দিতে কেউটে বলা হয়। আবার এই সাপেরই বিষ থাকলে সেটিকে কাল নাগ নামে ডাকা হয়। এই ক্ষেত্রে কোনো পৌরাণিক বিষয় নেই।
সাপের দু'টি মাথা হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। হতে পারে ভ্রূণের বিভাজনের সময় মাথা দু'টো হয়ে গেছে। আবার কিছু পরিবেশগত কারণেও দু'মুখো হওয়া সম্ভব।