Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ সোমবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন নেত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০২:৫২ PM
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০২:৫২ PM

bdmorning Image Preview


নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী নিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল মোদি সরকার। শুক্রবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট খুলতেই তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। প্রধান বিচারপতি শরদ এ বোবডের বেঞ্চে মহুয়ার আইনজীবী অনুরোধ জানান, দ্রুত এই মামলার শুনানি হওয়া দরকার। তার অনুরোধ ছিল, শুক্রবারই শুনানি হোক। না হলে সোমবার। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জানান, দ্রুত শুনানির জন্য রেজিস্ট্রারের কাছে যেতে হবে। তৃণমূল সাংসদের আইনজীবীদের আশা, আগামী সপ্তাহেই এর শুনানি হতে পারে।

মহুয়া মৈত্রের জন্ম ১৯৭৫ সালের ৫ মে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে মাউন্ট হলিয়োক থেকে তিনি গনিত ও অর্থনীতি নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে জে.পি মরগ্যান ব্যাংকের হয়ে কাজ করেছেন। ২০০৯ সালে ভারতীয় কংগ্রেস পার্টিতে যোগদান করেন মহুয়া। এর পরের বছরই পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন মহুয়া মৈত্র। এ বছর ভারতীয় লোকসভায় প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির মহুয়া মৈত্র। সংসদে প্রথম ভাষণে নজর কাড়েন তিনি। ওই ভাষণে তিনি ফ্যাসিবাদ বা কর্তৃত্ববাদী জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ নিয়ে বক্তব্য দেন যেটিকে 'বছরের সেরা' ভাষণ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।

মহুয়া ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনীকে অসাংবিধানিক বলে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ জয়রাম রমেশও। এর পর ‘রিহাই মঞ্চ’ ও ‘সিটিজেনস এগেন্সট হেট’ নামক দু’টি অসরকারি সংগঠনও সুপ্রিম কোর্টে একসঙ্গে মামলা করেছে। বৃহস্পতিবারই ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন অব মুসলিম লিগ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল। বিল পাশের আগেই বছরের গোড়ায় আসামের বিদ্বজ্জনেরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। তখন সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এই বিল পাশের পরে শুনানি হবে।  

জয়রাম রমেশশের পিটিশনে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ভিতে নির্লজ্জ হামলা। তার অভিযোগ, সংবিধানের ১৪-তম অনুচ্ছেদ ও ২১-তম অনুচ্ছেদে প্রদত্ত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কারণ নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রশ্নে ধর্ম ও ভূখণ্ডের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview