Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১১ রবিবার, মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারত বাঁচাও সমাবেশে যে আবেগঘন কথা বলেন সোনিয়া রাহুল প্রিয়াংকা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৪৩ PM
আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৪৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দিল্লির রামলিলা ময়দানে ভারত বাঁচাও সমাবেশ আয়োজন করে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস । সমাবেশে দলের নেতাদের ভাষণ শুনতে হাজির হয়েছেন হাজারো সমর্থক। এই সমাবেশে একই মঞ্চে হাজির হয়েছেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ও সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এখবর জানিয়েছে।

সমাবেশে কংগ্রেস নেতারা নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করেছেন। এই সমালোচনায় অর্থনীতি ও নারী সুরক্ষার বিষয়টি স্থান পেয়েছে। সমাবেশটি এমন সময় আয়োজিত হলো যখন বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন।

সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, নাগরিকত্ব বিল ভারতের হৃদয় ছিন্নভিন্ন করবে। অথচ তা নিয়ে মোদি-অমিত শাহের কিছু যায় আসে না। ভারতকে বাঁচাতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান তিনি।

সোনিয়া আরও বলেন, অবস্থা এখন এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, তারা চাইলেই একটি ধারা জারি করতে পারে, চাইলে একটি ধারা বাতিল করতে পারে এবং চাইলেই রাজ্যের প্রকৃতি পাল্টে ফেলে। যেখানে ইচ্ছে সেখানেই রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা জারি করছে। বিল পাস করছে বিতর্ক ছাড়াই।

রাহুল গান্ধীও নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এর মধ্যদিয়ে মোদি উত্তর-পূর্ব ভারতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে বিজেপি তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমার নাম রাহুল সাবারকার নয়, রাহুল গান্ধী। সত্য বলার জন্য কখনও ক্ষমা চাইব না।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, দেশের চলমান অবিচারের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করবে না তারা ভীতু। ভারত হলো ভালো, অহিংসা ও ভ্রাতৃত্বের দেশ। কিন্তু যখন যদি আতঙ্ক ও মিথ্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার না হন তাহলে সংবিধান ধ্বংস হয়ে যাবে। বিজেপি-আরএসএস’র মিথ্যাবাদী ও বেপরোয়া নেতাদের মতোই আমরাও সেজন্য দায়ী থাকব।

সমাবেশে রাহুল গান্ধীকে ‘আমার নেতা’ উল্লেখ করে সরকারের ‘মোদি থাকলে সব সম্ভব’ স্লোগান নিয়েও ব্যঙ্গ করেন। তিনি বলেন, সব বাস স্টপ, সব পত্রিকায় দেখা যায় মোদি থাকলে সব সম্ভব। বাস্তবতা হলো বিজেপি থাকলে পেঁয়াজের কেজি ১০০ রুপি সম্ভব, বিজেপি থাকলে ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব সম্ভব, বিজেপি থাকলে ৪ কোটি মানুষের চাকরি চলে যাওয়া সম্ভব।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদ্য কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া সাবেক অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি. চিদাম্বরমও।

Bootstrap Image Preview