পাকিস্তানের পর দিন-রাতের টেস্টে নিউজিল্যান্ডকেও উড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গোলাপি টেস্টে অজিরা তাদের আধিপত্য অব্যাহত রাখলো। পার্থ টেস্ট একদিন বাকি থাকতেই ২৯৬ রানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা। জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল টিম পেইনের দল।
জয়ের আনন্দে অস্ট্রেলিয়ার কাঁটা জশ হ্যাজেলউড। ইনজুরির কারণে কিউইদের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই ছিটকে গেছেন এ পেসার। ম্যাচের দ্বিতীয়দিন চোট পেয়েছিলেন, আর বল করতে পারেননি। রোববার সকালে নিশ্চিত হওয়া যায় পুরো সিরিজেই খেলতে পারবেন না হ্যাজেলউড।
দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষেই ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা লেখা হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার করা ৪১৬ রানের জবাবে মাত্র ১৬৬তে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ফলোঅন না করিয়ে ব্যাট হাতে নেমে ৯ উইকেটে ২১৭ তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে অজিরা। তাতে কিউইদের সামনে ৪৬৮ রানের পাহাড়সম টার্গেট দাঁড়ায়।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে একই হাল নিউজিল্যান্ডের। স্বাগতিকদের বোলিংয়ের সামনে কোনো কূলকিনারাই খুঁজে পায়নি কিউইরা। প্রথম ইনিংসে একজন হাফসেঞ্চুরি পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ তার দেখা পাননি। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন বিজে ওয়াটলিং। গ্র্যান্ডহোমের ব্যাটে আসে ৩৩ রান। স্টার্ক-কামিন্সদের সামনে ১৭১ রানে ধসে যায় সফরকারী ব্যাটিং লাইনআপ।
প্রথম ইনিংসের ৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ উইকেট নেন স্টার্ক। কামিন্সের দখলে দুই উইকেট। স্পিন ঘূর্ণিতে কম যাননি নাথান লায়নও। তিনি নেন চার উইকেট।
৬ উইকেটে ১৬৭ রানে তৃতীয়দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থদিন ব্যাট হাতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন পেইন। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি (৫০) করেন মার্নাস লাবুশেন। হাফসেঞ্চুরিতে তাকে অনুসরণ করেন জো বার্নস (৫৩)। বাকিরা অবশ্য কুড়ির ঘরেই ঘোরাফেরা করেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে টিম সাউদি নেন পাঁচ উইকেট। প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন চার উইকেট। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেয়া আরেক পেসার নিল ওয়াগনার এই ইনিংসে নেন তিন উইকেট।
এই জয়ে তিন টেস্টের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। দুদলের পরের বক্সিং-ডে টেস্ট শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর, মেলবোর্নে।