ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (এনআরসি) আইনে পরিণত হয়েছে। এর প্রতিবাদে আসামের পর ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজধানী নয়াদিল্লি, পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা দেশ। চলমান সহিংস বিক্ষোভের জন্য এবার পরোক্ষভাবে কেবল মুসলিমদেরই দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দুস্তান টাইমস’ জানায়, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ড সফর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনি সভা শেষে মোদী বলেছেন, ‘গোটা দেশে এই আগুন কারা লাগাচ্ছে, সেটা তাদের পোশাক দেখলেই চেনা যায়।’
সরাসরি মুসলিমদের দোষারোপ না করে তিনি বলেন, ‘টেলিভিশনে যে ছবিগুলো এসেছে সেগুলো কি আপনারা দেখেছেন? আগুন কারা লাগাচ্ছে, তাদের পোশাক কি আপনারা দেখেছেন? বিক্ষোভের পিছনে কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলো উসকানি দিচ্ছে।’
এর আগে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) ঝাড়খণ্ডের এক নির্বাচনি সভায় সদ্য পাস হওয়া আইনটির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আগত ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা আইনটির মাধ্যমে এখানকার নাগরিকত্ব লাভ করবেন। তাই সরকারের এ সিদ্ধান্ত ১০০০ শতাংশ সঠিক।’
মোদীর ভাষায়, ‘আমি ও ভারতীয় পার্লামেন্ট আইনটির মাধ্যমে দেশকে বাঁচিয়েছি।’
গত ৯ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। বিলটিতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পার্লামেন্টে বিলটি উত্থাপন করেন ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ।
এরপর ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পাস হয় বিলটি। রাজ্যসভায় এই বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি। আর বিপক্ষে পড়েছে ১০৫টি ভোট। যার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বিতর্কিত এই বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনে পরিণত করা হয়।