ভারতীয় পেসারদের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। তবে, পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ ভারতীয়দের মতো অতোটা গোছাল নয়, তাই আসন্ন এই সিরিজে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না। এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম। চলতি বিপিএলে দল পেলে, পাকিস্তান সিরিজের জন্য প্রস্তুতিটা আরও ভালোভাবে নেয়া যেতো। তাই কিছুটা আফসোস থাকলেও, নিজেকে তৈরি করছেন তিনি। শুধু টেস্ট নয়, টাইগারদের ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলেও সুযোগের অপেক্ষায় এই ওপেনার।
ভারত সফরে একটা ধাক্কা খেয়েছেন সাদমান ইসলাম। যে লক্ষ্য নিয়ে গিয়েছিলেন তা তো পূরণ হইনি, বরং চরম লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে। সিরিজের আগে যে আত্মবিশ্বাস ছিল, তা দুমড়ে মুচড়ে গেছে ভারতীয় পেসারদের আঘাতে। ইশান্ত শর্মা- মোহাম্মদ শামি- উমেশ যাদবদের সামনে দিশেহারা হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী পেস বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
এই প্রশ্নের জবাবে সাদমান বলেন, আমরা যদি নিজেদের আরও একটু ভালো করে প্রস্তুত করে নিয়ে যেতে পারতাম তবে হয়তো আরও ভালো করতে পারতাম।
চলতি বিপিএলে দল পাননি সাদমান। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রস্তুতি তাই একা একাই নিতে হচ্ছে তাকে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে রানিং আর ব্যাটিং অনুশীলন করছেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। তার ভাবনায় পাকিস্তানের বোলিং। অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলটির খেলায় নজর রেখেছেন তিনি।
সাদমান বলেন, যেভাবে পাকিস্তানের বোলিং অ্যাটাক সেভাবেই আমি নিজেকে রেডি করব।
তবে, আক্ষেপ আছে। ৬টি টেস্ট খেলে ফেললেও এখনো রঙিন পোশাকে অভিষেক হয়নি। ধীরগতিতে ব্যাটিং করেন, ক্যারিয়ারের শুরুতেই সাদমানকে নিয়ে এই ধারণা তৈরি হয়েছে।
৬ টেস্টে ২৫ গড়ে সাদমানের রান ২৭৫। ফিফটি মাত্র একটি। তবে, সিনিয়ররা অপার সম্ভাবনা দেখেন তার মাঝে। প্রতিভার দ্যুতি ছড়িয়ে শিগগিরই রানের ঘোড়া ছোটাবেন সাদমান, এমন প্রত্যাশা সমর্থকদের।