ফের পথে নেমে মিছিলে অংশ নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিশাল মিছিলে অংশ নিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবারও শপথ পাঠ করিয়ে মহামিছিল শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও মিছিল শুরুর আগে শান্তির বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করুন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করুন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা নাগাদ যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয়। এই মিছিল গিয়ে শেষ হবে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে।
মিছিল শুরুর আগে মমতা বলেন, নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে যেসব গণতান্ত্রিক আন্দোলন হচ্ছে, সেগুলিকে সহমর্মিতা জানাই।
তিনি বলেন, বাংলায় এনআরসি হতে দেব না। কাউকে বাংলা ছেড়ে যেতে দেব না।
আজ মিছিলে উপস্থিত রয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহানও।
তাঁদের পাশে নিয়ে মমতা বলেন, বিজেপি ভাবছে দেশ দখল করে নিয়েছি। সংখ্যার জোরে আইন পাশ করানো যায়। মানুষের সমর্থন না পেলে কার্যকরী হয় না। সংবিধান মেনে নাগরিকত্ব আইন হয়নি। কবে বিল পাশ হবে, আগে জানানো হয়নি। না জানায় অনেক সাংসদ পৌঁছতে পারেননি।
কয়েক দিন আগে বিক্ষোভকারীদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, পোশাক দেখলেই বোঝা যায়, কারা বিক্ষোভ করছে। তা নিয়েও এদিন তাঁকে একহাত নেন মমতা।
তিনি বলেন, পোশাক দেখে কি আন্দোলনকারীকে চেনা যায়? পোশাক দেখে মানুষ চেনা যায় আগে কখনও ভাবিইনি। পোশাক-খাবার যার যার নিজের।
উল্লেখ্য, সিএএ বিক্ষোভ ঘিরে যখন উত্তাল গোটা ভারত, সেই প্রেক্ষাপটে গত রবিবার ঝাড়খণ্ডের দুমকায় মোদি বলেন, টিভিতে, ছবিতে পোশাক দেখেই চেনা যাচ্ছে কারা অশান্তি করছেন।
মোদির এই মন্তব্যের পর ভারত জুড়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছে।