Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন স্থগিত করল না ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:৩৭ PM
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৬০টি আবেদনে সাড়া দিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি নোটিশ ইস্যু করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

বুধবার সকালে এক সংক্ষিপ্ত শুনানিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন স্থগিত রাখতে অস্বীকার করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারক প্যানেল।

তারা বলছেন, এ আইন স্থগিত রাখা যাবে কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখতে হবে আমাদের।

প্রধানবিচারপতি এস বোবডের নেতৃত্বাধীন প্যানেলে আরও রয়েছেন বিচারপতি বিআর গাভেই ও সুরইয়া কান্ত। শুনানির জন্য আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছে আদালত।

শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কপিল শিবাল। তিনি বলেন, যেহেতু বিধিমালা এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন আকারে দেয়া হয়নি, কাজেই এই আইনের বাস্তবায়ন করা উচিত হবে না।

তার বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপাল। তিনি আইনটি স্থগিতের বিরুদ্ধে কথা বলেন।

এদিকে ভারতজুড়ে আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আইনের প্রতিবাদে দিল্লিতে শিক্ষার্থীদের তুমুল বিক্ষোভের পর পুলিশ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের ভেতরে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালায়।

রোববার সন্ধ্যায় লাঠিচার্জ আর পুলিশের ছোড়া একের পর এক কাঁদানে গ্যাসের শেলের মধ্যেই আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারের দরজা আটকে বাথরুমের ভেতর লুকিয়ে ছিল।

ভেতরে থাকা এক শিক্ষার্থীর ভিডিও ফুটেজে কয়েক ডজন ছাত্রছাত্রীকে আশ্রয়ের জন্য হুড়োহুড়ি করতে, ডেস্কের নিচে মাথা লুকিয়ে রাখতে এবং পালানোর চেষ্টায় ধাতব, ভাঙা গ্লাস ডিভাইডারের ওপর দিয়ে লাফ দিতে দেখা গেছে।

পুলিশের বর্বরতার চিহ্ন হিসেবে সোমবারও ওই গ্রন্থাগারের মেঝেতে ফোটা ফোটা রক্তের দাগ ছিল।

রোববার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভের মধ্যে দক্ষিণপূর্ব দিল্লির এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে যে সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকে বাঁচতে ৬শ’রও বেশি শিক্ষার্থী ওই গ্রন্থাগার ভবনের ভেতর আশ্রয় নিয়েছিলেন।

পুলিশের হামলায় সন্ধ্যার পর থেকে ওই ভবনটিতে আতঙ্কের রাত নেমে এসেছিল।

আনন্দবাজার বলছে, পুলিশের হামলায় গ্রন্থাগারের রিডিং-রুমের প্রায় কোনও কাঁচই আস্ত নেই। মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে চেয়ার-টেবিল। সিসি ক্যামেরা ভাঙা। পেটমোটা বইয়ের পাশে মেঝেতে ইটের টুকরো আর কাঁদানে গ্যাসের শেল। এমনকি নরেন্দ্র মোদী আর অযোধ্যা সম্পর্কিত বই রাখা যে শো-কেসে, তার কাঁচও রেহাই পায়নি অমিত শাহের পুলিশের হাত থেকে।

Bootstrap Image Preview