ঢাকার ধামরাইয়ে একটি রাস্তায় পাকাকরণের কাজে বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় ঠিকাদার মাটি দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রকৌশলী মাটি দেওয়ার কথা স্বীকার করে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধামরাই কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার আমতা ইউনিয়নের আমতা গ্রামের ‘রফিকের দোকান হতে শহিদুল্লাহ জজবাড়ি পর্যন্ত’ ২২০০ মিটার (২.২ কিলোমিটার) রাস্তা পাকাকরণের কাজ চলছে।
এ কাজটি করছে ‘ফাস্টবিল কনসালটেন্সি অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি শুরু করা হয় গত কয়েক মাস আগে। এ কাজের শুরুতেই অনিয়ম ও নিম্নমানের উপকরণ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাস্তার মাটি ও দুই পাশ কর্তন করে বেড তৈরি করা হয়েছে। এ বেডে রুলিং করার পর রাস্তায় বালি দেওয়ার কথা। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান রাস্তায় বালির পরিবর্তে মাটি ফেলেছে। এতে এলাকাবাসী বাধা দিয়ে কাজটি বন্ধ করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়েও একই চিত্র পাওয়া গেছে। সেখানে রাস্তার ওপর বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তায় বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি। এ ছাড়া রাস্তায় রোড রুলার দিয়ে রুলিং করা হয়নি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জুয়েলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, যদি মাটি দেওয়া হয় তাহলে তা অপসারণ করে বালি দেওয়া হবে।
কাজটি দেখাভালৈর দায়িত্বে আছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধামরাই কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়া হয়েছে ঠিকই তবে তা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক বলেন, বালির পরিবর্তে মাটি দেওয়া হয়েছে; আমিও শুনেছি। যদি অনিয়ম করে থাকে তাহলে তা বাতিল করা হবে।