পুলিশের দেয়া মিথ্যা মামলায় মাসহ কলেজছাত্রীকে গ্রেফতারের বিচার চেয়েছেন রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন নয়াটোলা এলাকার একটি পরিবার।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রোজিনা বেগম এই অভিযোগ করেছেন।
এসময় তার মেয়ে শেরেবাংলা কলেজের এইচএসসির ছাত্রী শারমনি আক্তার শান্তা, বোন শবজান, ভাতিজি সিদ্ধেশ্বরী গালর্স কলেজের অনার্সের ছাত্রী ইতি উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে রোজিনা বলেন, মীরবাগ নয়াটোলার ৭ নম্বর হোল্ডিংয়ে থাকা তাদের বাড়িটি অবৈধভাবে দখলের জন্য প্রতিবেশী মজিবুল হকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশ নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। তার অংশ হিসাবে পুলিশ রোজিনার ভাই আব্দুল হাকিমকে আট পিস ইয়াবা দিয়ে গ্রেফতার দেখায়। ২১ সেপ্টেম্বর রাতে পুলিশ নয়াটোলার ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাসা থেকে শান্তা, আখি, জবাসহ তাদের মা-খালাদের টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর পুলিশ তাদের সবার বিরুদ্ধে থানায় হামলা চালিয়ে ১৭ জন পুলিশকে মারধর করে আহত করার অভিযোগে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। অথচ থানায় থাকা একাধিক সিসি ক্যামেরায় সেই হামলার ফুটেজ ওঠেনি। সেই মিথ্যা মামলায় ১২ দিন হাজতি খেটে জামিন মুক্তি পান তারা।
রোজিনা বলেন, থানার একটি রুমে চোখ-হাত বেঁধে হাতিরঝিল থানার ওসি তার সঙ্গে যে আচরণ করেছে তাতে তার আত্মহত্যা করার কথা। কিন্তু সন্তানদের কথা ভেবে আত্মহত্যা করতে পারিনি।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ দিলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়। এরপর হাতিরঝিল থানা পুলিশ তাদের ১০ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টির মীমাংসার প্রলোভন দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু তার লোভে সাড়া না দেয়ায় তিনি আরও একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন রোজিনা।