পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে নিয়ে কুরুচিকর ভাষায় মন্তব্য করেছেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গজুড়ে চলা বিক্ষোভে মমতার প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলতে গিয়ে তিনি এ অশ্লীল মন্তব্য করেন।
তবে মমতাকে নিয়ে করা সুভাষের এ মন্তব্য চলমান আন্দোলনে আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতোই মনে করছেন অনেকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার বীরভূমের কোটাসুর গ্রামে বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। বিজেপির দুই সাংসদ সুভাষ সরকার ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো গতকাল বুধবার ঘটনাস্থলে যান।
সেখানেই মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে সুভাষ সরকার বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি যে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন সিএএ আইনের বিরোধিতা করার জন্য, সেই ডাকে কারা সাড়া দিয়েছেন? তাদের পোশাক কী ছিল? পোশাক দেখেই বুঝতে পারা যাচ্ছে এই আন্দোলনে কারা তার সঙ্গী। কোনো সাধারণ মানুষ নেই।’
বক্তব্যের এক পর্যায়ে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে বিজেপির এই সাংসদ বলেন, ‘এই মমতা ব্যানার্জির দাড়িভিটে ছাত্ররা যখন বাংলার মাস্টারমশাই চাইল, তাদের বুকে গুলি মেরে দিল।
আর যখন জিহাদিরা, অনুপ্রবেশকারীরা ট্রেন ভাঙছে, পুলিশ মারছে, আরপিএফ মারছে তখন পুলিশের রিভলবারে-বন্দুকে তিনি কী লাগিয়ে রেখেছেন? পুলিশের রিভালবারে কি উনি কনডম পরিয়ে রেখেছিলেন?’
তবে সুভাষের এ বক্তব্যের পর থেকে তার সমালোচনা করছেন অনেকেই। সবার প্রশ্ন, উনি একজন সাংসদ হয়ে এই ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন! সাধারণ মানুষের কাছে এতে কী বার্তা যায়?
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।