Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ বুধবার, এপ্রিল ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

শীতে কাঁপছে দেশ, শৈত্যপ্রবাহ চলবে আরও ২ দিন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০৯ PM
আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০৯ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীসহ সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে হিম বয়ে আনা বাতাসে উঠছে হাড় কাঁপুনি। ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হঠাৎ চলে আসা এই ঠাণ্ডা ‍অনুভূতিতে মানিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

খবর আসছে, হঠাৎ করে ঠাণ্ডার এ আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে ঠাণ্ডার অনুভূতি বাড়ে। বর্তমানে রাজধানীতে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য প্রায় অর্ধেক কমে এসেছে। তারপরও রয়েছে ‘উত্তরা বাতাস’। ফলে মড়ার ওপর খাড়ার ঘা’র অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর তাপমাত্রা কমবে। ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে ব্যারোমিটারের পারদ।

দিনের তাপমাত্রা এখন ২০ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে আছে। এটা আরো নিচে নেমে এলে রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য আরও কমে যাবে। ফলে ঠাণ্ডার অনুভূতি আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসছে বাতাস, যেটাকে আমরা ‘উত্তরা বাতাস’ বলে থাকি। ঢাকায় বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। এই বাতাস কনকনে হিম বয়ে এনে হাড় কাঁপুনির সৃষ্টি করেছে।

এই বাতাস না থাকলে দিনের তাপমাত্রা এতো কমতো না। আর এতো ঠাণ্ডাও অনুভূত হতো না। ৯-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এতো ঠাণ্ডা অনুভূত হয়না, যদি রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য বেশি থাকে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। এমন অবস্থা দু’দিন থাকার পর সূর্যকিরণ আবার আগের মতো পাওয়া যাবে।

স্থান ভেদে ২১ ও ২২ ডিসেম্বরের দিকে ঠাণ্ডা অনুভূতি কমে আসবে। এরপর আসতে পারে নিম্নচাপ। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ মাঝারী (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) ধরণের শৈত্যপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে দেশবাসীকে।

Bootstrap Image Preview