Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ সোমবার, মে ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

সেতু নয় যেন এক মরণফাঁদ, ১০ বছরে ৭ জনের প্রাণহানি!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০২:২৩ PM
আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০২:২৩ PM

bdmorning Image Preview


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরএলাকার আলমনগর ১নং ও ২নং ওয়ার্ডের মানুষের চলাচলে জন্য নির্মিত সেতুটির বেহাল দশা।

২৫ বছর আগে নির্মিত এই সেতুটি গত এক যুগ ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গাচোরা এ সেতুর উপরে গাড়ি উঠতে গিয়ে এই পর্যন্ত এলাকার কমপক্ষে সাতজন প্রাণ হারিয়েছে। সেতুটিতে গাড়ি ওঠার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। পঙ্গুত্ব বরণ করে অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছে।

মাঝে মাঝে স্থানীয়রা সেতুটির রেলিংয়ে বাঁশ নিয়ে জোড়াতালি দিলেও সপ্তাহ পার হলে সেই আগের অবস্থায়ই ফিরে আসে।

স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই ভাঙ্গাচোরা ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটির ওপর দিয়ে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করে থাকেন। প্রায় দুই যুগ আগে সেতুটি নির্মাণ হওয়ার পর গত কয়েক বছর আগে সেতুর বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা উঠে গিয়ে সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

পাশাপাশি সরু এই সেতুর দুই পাশের রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীবাহী সকল যানবাহনকে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। ফলে সেতুটিতে উঠতে গিয়েই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।

এলাকার কাউন্সিলর আবু হানিফ বলেন, ৯৫/৯৬ সালের দিকে ভাটা নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। কিন্তু ৫/৭ বছর আগে জন-গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার পরও মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষ বর্তমানে এই সেতুটির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। সেতুতে যানবাহন উঠলে কেঁপে উঠে, যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে।

স্থানীয়রা বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সেতু থেকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচে পড়ে গিয়ে এ পর্যন্ত এলাকার কমপক্ষে সাতজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাই দ্রুত এই সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা না হলে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নবীনগর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র শিব শংকর দাস জানান, সেতুটি নির্মাণে শিগগিরই প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview