মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন ইস্যুতে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র। ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ মার্কিন ট্রাম্পের অভিশংসন চান। বিরোধিতা করেছেন ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। রিপাবলিকান সংখ্যাগোরিষ্ঠ সিনেটেও অভিশংসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন ডেমোক্র্যাটরা। সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা বলছেন, উচ্চকক্ষে প্রত্যাশিত ফলই পাবেন রিপাবলিকানরা।
অভিশংসনের প্রস্তাব সিনেটে পাঠানোর পরই শুরু হবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার প্রক্রিয়া। টানা ৬ সপ্তাহ, সপ্তাহে ছয়দিন কোরে চলবে শুনানি। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনিটে আশানুরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলেই পাঠানো হবে অভিংশন প্রস্তাব।
সিনেটে ৫৩ জন রিপাবলিকান সিনেটর। স্বতন্ত্র দুইজনসহ ডেমোক্র্যাট সিনেটর ৪৭ জন। অভিশংনের জন্য প্রয়োজন ৬৭ জন সিনেটরের সমর্থন। আর পুরো বিচার প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করবেন মার্কিন প্রধান বিচারপতি। তবে মুখ্য ভূমিকা সিনেটরদেরই।
ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে ইতোমধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন মার্কিনরা। এক জরিপ বলছে, প্রায় ৪৮ শতাংশ মার্কিন ট্রাম্পের অভিংশন চান। ক্ষমতায় চান ৪৭ শতাংশ। ৮৩ শতাংশ ডেমোক্র্যাট অভিশংসনের পক্ষে। আর ৮৮ শতাংশ রিপাবলিকান অভিশংনের বিপক্ষে।
ট্রাম্পের আগে প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসনের শিকার দুই প্রেসিডেন্টের কেউই আর নির্বাচনে দাঁড়াননি। ট্রাম্পকে রাজনীতির মাঠে পরাস্ত করার এ সুযোগটাই নিতে চাইছে ডেমোক্রেট পাটি।
অবশ্য ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যে ফোনকল নিয়ে এতোকিছু তা শিগগিরই জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন তিনি।