ভারতে বিতর্কিত মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্রসমাজ, সবাই নেমে এসেছে রাজপথে। প্রতিবাদের আগুনে পানি ঢালতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কিন্তু তাতে হয়েছে বিপরীত। ওই ঘৃণ্য আক্রমণে ক্ষেপে উঠেছে দেশবাসী। প্রতিবাদ হচ্ছে সবখানে। এবার তো নিজের গায়ে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানালেন এক যুবক।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লিতে কার্তিক মেহের নামে ২৫ বছর বয়সী এক যুবক নিজের শরীরের আগুন দিয়ে আত্মাহুতি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাষ্ট্রপতি ভবনের অদূরে ইন্ডিয়া গেটের সামনেই।
চিকিৎসকরা জানান, ওই যুবকের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার বাঁচার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তবু সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওডিশার বাসিন্দা কার্তিক মেহারকে গায়ে আগুন দেওয়ার আগে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করতে দেখা যায়। তবে ওই যুবক নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কোনো স্লোগান দেননি বলে দাবি পুলিশের।
সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। এতে বলা হয়েছে- মুসলিম ছাড়া আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে শরণার্থী হিসেবে হিন্দু, পার্সি, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা আশ্রয় নিতে বাধ্য হলে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ভারত। বিশেষ করে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে। পরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ গোটা ভারতে।