নাগরিক আইন : আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিপদে ফারহান আখতার

“সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করে প্রতিবাদের দিন ফুরিয়েছে, এবার রাস্তায় নামুন” প্রতিবাদী আন্দোলনের ডাক দিলেন বলিউড অভিনেতা ফারহান আখতার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে একদিকে যখন উত্তাল দেশ, বলিউড তারকারাও মুখ খুলেছেন এই বিষয়ে।

তবে, বলি পাড়ার ডাকসাইটে ক’জন অভিনেতার ভাবলেশহীন গতিক দেখে নেটদুনিয়ায় কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তাঁরা। তবে সে পথে হাঁটেননি ফারহান। বরাবরের মতো সরকারের সমালোচনা করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, এনআরসি বিরোধী প্রতিবাদী আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। যার জেরে মুম্বই পুলিশ আধিকারিকের কটাক্ষের শিকার হলেন।

ফারহান আখতার বরাবরই স্পষ্টভাষী। সোজাসুজি কথা বলেন। এবারও সে পথ অনুসরণ করে টুইটারে পোস্ট দিলেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কী এবং কেন, সেই সম্বন্ধিত একটি ছবি পোস্ট করে ফারহান লিখেছেন, “কেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, এনআরসি-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটা জরুরি? আপনারা জানুন।”

পাশাপাশি এও জানিয়ে দিয়েছেন যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় যে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, তাতে অতি অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন তিনি। এমনকী, অনুরাগীদেরও সেই সমাবেশে উপস্থিত থাকার আরজি জানিয়েছেন পরিচালক-অভিনেতা ফারহান আখতার।

তাঁর কথায়, “সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের দিন ফুরিয়েছে, এবার সবাই একজোট হয়ে প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামুন।” আগামীকাল অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের আগস্ট ক্রান্তি ময়দানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, এনআরসি-এর বিরোধিতায় সুর চড়াতে জড়ো হবেন সবাই।

ফারহানের পোস্টে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের এক প্রতীকও রয়েছে। সেই পোস্টকে অনুসরণ করেই তিনি ফের রি-টুইট করেছেন। কারণ, আগের ছবিতে অভিনেতা ভুলবশত এমন একটি ছবি দিয়ে ফেলেছিলেন যেখানে ভারতের মানচিত্রে জম্মু ও কাশ্মীরের ভৌগোলিক সীমান্ত যথাযথভাবে দেখানো হয়নি। প্রথমটায় সেটা খেয়াল না করেই তিনি শেয়ার করেছিলেন। কিন্তু পরে, নজরে আসতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সম্পর্কিত ছবিটি দ্বিতীয়বার পোস্ট করেন। কারণ?

অভিনেতার কথায়, তিনি মনে করেন কাশ্মীর ভূখণ্ডের প্রত্যেকটি ইঞ্চি ভারতের অংশ, তাই আগের ছবি ডিলিট করে নতুন ছবি দিয়ে রি-টুইট করতে বাধ্য হন তিনি।

অন্যদিকে, এই পোস্টের জেরে মুম্বই পুলিশের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন ফারহান। আইপিএস অফিসার সন্দীপ মিত্তালের কথায়, ফারহান আখতার আইন ভেঙেছেন। আর তাই মুম্বই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, অভিনেতার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার।