নিয়মিত বিপিএল খেলা বিগ হিটারদের একজন রবি ফ্রেইলিঙ্ক। মাঠে তার ভূমিকা বেশ প্রশংসিত। বড় শটে দক্ষতার পাশাপাশি মেটাতে পারেন পরিস্থিতির দাবি। সাউথ আফ্রিকান অলরাউন্ডার এবার খেলছেন খুলনা টাইগার্সে। দলটির তরুণ ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে ফ্রেইলিঙ্কের কাছে জেনে নিলেন বড় শটে ছয় মারার কৌশল।
আমিনুল যখন বিকেএসপির ছাত্র, তখন ছিলেন মূলত ব্যাটসম্যান। বোলিং করতেন টুকটাক। বিসিবির এইচপি ক্যাম্পে এসে বল হাতে নজর কাড়েন কোচের। সাইমন হেলমট প্রতিভা চিনতে ভুল করেননি। লেগস্পিনে জোর বাড়াতে বলার কয়েকমাস পরই এ তরুণ চলে আসেন জাতীয় দলে। ঘুচে যায় টাইগার স্কোয়াডে লেগস্পিনারের অভাব!
দেশের জার্সিতে টানা দুটি টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলে ফেলেছেন আমিনুল। খুব খারাপ করেননি। ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট। ইকোনমি ৭.০০। সুযোগের অভাবে পারেননি ব্যাটিং প্রতিভা মেলে ধরতে। বিপিএলে তাই বোলিংয়ের পাশাপাশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ব্যাটিংয়েও।
বোলার হিসেবে আমিনুলের উপর সবার চোখ থাকলেও তিনি নিজেকে দেখেন অলরাউন্ডার হিসেবে। ব্যাট হাতে প্রমাণের তাগিদ অনুভব করায় ছুটে যান সতীর্থ ফ্রেইলিঙ্কের কাছে।
সবাই জানে ও(ফ্রেইলিঙ্ক) বিগ হিটার। ভালো স্ম্যাশ করতে পারে। ওটাই ওর কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছিলাম, যে বড় শট বা বড় ছয় মারতে হলে কোন জিনিসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ও সেটাই পরামর্শ দিল। বলল, ভালো পজিশন নিয়ে মারাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর ব্যাট সুইংটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসব যদি ভালো থাকে তাহলে এমনিতেই শট ভালো হয়।’
ব্যাট-বল, দুটি কাজেই সমান মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন। আমিনুল অবশ্য আত্মতৃপ্তির জন্যই নিজেকে দেখতে চান দ্বৈত ভূমিকায়, ‘এটা চ্যালেঞ্জিং। চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করার একটা মজা আছে। এরমধ্যে থেকে আগাতে হবে। কারণ আর কোনো পথ নেই, আর কোনো সুযোগ নেই। যেহেতু চেয়েছি অলরাউন্ডার হতে, তাই দুইটাকে (বোলিং-ব্যাটিং) সমানভাবে দেখছি। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং নিয়েও সময় রাখতে চাই, তারাও (কোচিংস্টাফ) সময় দিচ্ছে আমাকে। সুবিধাটা যাতে ম্যাচে নিতে পারি সে চেষ্টা করছি।’
‘ব্যাটিং ভালো না হলে নিজের সন্তুষ্টি থাকবে না। অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। যখন সুযোগ হয় বোলিংয়ে তখন ভালো করার চেষ্টা করছি। ব্যাটিংয়ে ওইভাবে সুযোগ হয়নি। সুযোগের অপেক্ষায় আছি। যদি কখনো সুযোগ হয়, সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করব।’
‘অনেকে ভাবে আমি এইচপি থেকে বোলিং করা শুরু করেছি, আসলে তা না, ছোটবেলা থেকেই বোলিং করি। আসলে পেশাদারভাবে প্রথম পছন্দ হিসেবে আসেনি তখন। যখন ওইখান থেকে ভালো হওয়া শুরু করল এবং হেলমট যখন পরামর্শ দিল ‘‘তোমার বোলিংটা ভালো আছে, এখন থেকে বোলিংয়ে ফোকাস করো। তাহলে তুমি অনেক আগাতে পারবা।’’ তারপর থেকে বোলিংয়ে বাড়তি ফোকাস দিচ্ছি।’