ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সারা দেশ। সেইসঙ্গে শীত জেঁকে বসেছে চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায়। আজ শুক্রবারের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশা বেড়ে দেশের তাপমাত্রা আরও এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতেও। জনবহুল শহর ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই অবস্থা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট আর ঠাকুরগাঁওয়ে।
দুই দিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে সারা দিনেও সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কোথাও কোথাও অনেক বেলা করে দেখা মিলছে সূর্যের।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ শুক্রবারের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার দাপট দেশের আরও কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গিয়ে শীতের দাপট আরও বাড়তে পারে। শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও নদীতীরবর্তী এলাকায় ঘন কুয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দেশের সড়ক ও নৌপথে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। মাঠে থাকা বোরো ধানের বীজতলা, আলু ও সরিষার চারা কুয়াশার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে, তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, আবার মাঠের ফসলের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে ঘন কুয়াশা। শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে।