ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ফের রাজধানী দিল্লিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভের আশঙ্কায় কলকাতায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
শুক্রবার জুম্মাবার উপলক্ষ্যে বিক্ষোভের আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই কারনেই কলকাতায় এই সতর্কতা ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় অলিখিতভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো না হলেও শুক্রবার বেলা বাড়তেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের খবর পাওয়া যায়। কলকাতার পার্ক সার্কাস, বিশ্ব বাংলা সরণির পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা, কামালগাজি, বিজয়গড়, খিদিরপুর, মোমিনপুরে এদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার খবর মিলেছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বুকিং পাচ্ছেন না অ্যাপ ক্যাব চালকরাও।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে শুক্রবার জুম্মার নমাজের পর কলকাতা সংলগ্ন উলুবেড়িয়ায় ছড়িয়েছিল সহিংস বিক্ষোভ। রেল লাইন ও স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। এরপর একই রকম হিংসাত্মক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। বাদ যায়নি কলকাতাও। সপ্তাহখানেক পর সেই তাণ্ডব কিছুটা থামলেও নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় শুক্রবার বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে বন্ধ পশ্চিমবঙ্গের ৬ জেলায় ইন্টারনেট।
অন্যদিকে, বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় শুক্রবার তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় দিল্লির জামা মসজিদে। শুক্রবার নামাজ শেষ হওয়ার পর পরই কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন ভীম সেনার প্রধান চন্দ্রশেখর আজ়াদ। জানা গিয়েছে, জামা মসজিদের বাইরে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, জামা মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন বেআইনি। তবে কোনও পদক্ষেপ নিতে নারাজ দিল্লি পুলিশ। সকাল থেকেই জামা মসজিদের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়েই তবে জামা মসজিদে প্রবেশ করানো হয়েছিলো, তথাপি আটকানো যায়নি বিক্ষোভ। ভারতীয় সংবিধানের রেপ্লিকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন চন্দ্রশেখর আজ়াদ।